ব্রিগেডের সভায় চমক দেওয়ার চেষ্টা, প্রার্থী নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত মমতার! তুঙ্গে জল্পনা! কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য March 10, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বত্র প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল রাজ্যের শাসকদল হলেও তারা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। তবে বিজেপি এই পশ্চিমবঙ্গের 20 টি আসনে নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়ে প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে অতীতে কোনোদিন এই দৃষ্টান্ত স্থাপন না হলেও এবার লোকসভার প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে বড় চমক দেওয়ার চেষ্টা করছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকবার নিজের কালীঘাটের বাড়ি থেকেই লোকসভা থেকে শুরু করে বিধানসভার প্রার্থী ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু এবার সেখানে একটা বড় বদল আসতে চলেছে। আজ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকেই সেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে খবর। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, হঠাৎ এই চমক কেন? সূত্রের খবর, তৃণমূল যে পরিমাণ অন্তর্দন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে, তাতে এখনই যদি তারা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করে, তাহলে সেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর গন্ডগোল আরও বাড়তে শুরু করবে। এমনিতেই বিজেপির জনপ্রিয়তা এই রাজ্যে আকাশচুম্বি। মানুষ মুখিয়ে রয়েছে বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপি 20 টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেও রাজ্যের ক্ষমতায় থেকে কেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারছে না, তা নিয়ে শাসক দলের কর্মীদের মধ্যেও প্রশ্ন উঠছে। তাই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আর বিন্দুমাত্র দেরি করতে চাইছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রত্যেকবার নির্বাচনের দিন ঘোষনার পরেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার বিজেপির চাপে আজ ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই ৪২ টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে চমক দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী বলেই মনে করছে না একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, সকলেই খুব ভালো করে জানেন যে, এই লোকসভা ভোটে মানুষ বিজেপিকেই সমর্থন করবে। আর এটা তৃণমূলের কর্মীরাও খুব ভালো করে জানেন। স্বাভাবিক ভাবেই যতই বিজেপির বিরুদ্ধে গলা ফাটান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি বুঝতে পারছেন যে, এবার এই রাজ্যে তার দলের কতটা খারাপ ফলাফল হবে। সেদিক থেকে কর্মীদের মধ্যেও হতাশা তৈরি হয়েছে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করা নিয়ে। তাই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে যদি তেমন কোনো ঘোষণা না হয়, তাহলে কিন্তু কর্মীরা নিরাশ হয়েই নিজের জেলায় ফিরে যাবেন। উল্টে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্যের শাসক দলের সাংগঠনিক ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুন্ন হতে পারে। তাই এত সব কিছু সমীকরণকে মেলানোর জন্যই বড় চমক ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে দিতে বাধ্য হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -