লকডাউনের মাঝেই জবরদখল উচ্ছেদ ঘিরে বিক্ষোভ, তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর বাঁকুড়ায় পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য May 19, 2020 বাঁকুড়ার কবরডাঙ্গা এলাকার রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু মানুষ বহুদিন ধরে বসবাস করছে। এলাকাটি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত বলে জানা গেছে। এদিকে লকডাউনের মধ্যেই গত কয়েক দিন ধরে তাদের উঠে যাওয়ার জন্য রেলের তরফে মাইকিং করা হচ্ছিল বলে সূত্রের খবর। জানা গেছে সোমবারের মধ্যে তাদের এই জবর দখল হটানোর বিষয় সতর্কতা দেয় রেল। কার্যত এদিন সকালেই বেশ কিছু আরপিএফ এবং রেলকর্মী এই জবর দখল হটানোর কাজে এলে সেখানে বসবাস করা মানুষের বিক্ষোভের মুখে তাদের পড়তে হয় বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে ওই রেল কর্মী এবং আরপিএফ – এর দল ফিরে যান বলে জানা গেছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে এমন উত্তেজনা ছড়ানোর কারণে আলোচনার ঝড় উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহলে।অন্যদিকে জানা গেছে এদিন পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা চক্রবর্ত্তী। এদিন তিনি বিষয়টির প্রতিক্রিয়া হিসাবে জানিয়েছেন, “লকডাউন-এর মাঝে এ ভাবে জবরদখল মুক্ত করার নামে দুঃস্থ মানুষদের সমস্যায় ফেলতে চাইছে রেল”। সূত্রের খবর এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার এবং তারপর তাকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। প্রসঙ্গত এদিন সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, “স্থানীয় লোকজন কেউ বিক্ষোভ দেখাননি। রাজনৈতিক চক্রান্ত করে বেপাড়ার লোকজনকে এনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। জমিতে জবরদখল মুক্ত অভিযান বন্ধ রাখার জন্য আগেই রেলকে চিঠি দিয়েছিলাম।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে এদিন তিনি সরাসরি বিরোধী দলের দিকে তোপ দেগে বলেন, “সিপিএম ও তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতার জন্যই এই রাজ্যে বহু মানুষের বাড়ি নেই। তাই তাঁদের রেলের জমিতে থাকতে হচ্ছে।” জানা গেছে এদিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কিঙ্কর পোশাক এবং দলের জেলা কমিটির সদস্য প্রতীপ মুখোপাধ্যায় সেই এলাকায় পৌঁছান। সূত্রের খবর বিষয়টি নিয়ে এদিন প্রতিপ মুখোপাধ্যায় কটাক্ষ করে জানান, “বাসুদেব আচারিয়া বাঁকুড়ার সাংসদ থাকাকালীন জেলায় রেলের জমি থেকে যাঁদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তাঁদের সকলকেই পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রেও পুনর্বাসন দিতে হবে।” তবে বিক্ষোভের মুখে পড়ে কর্মীরা এদিন পিছু হটলেও ফের উচ্ছেদের কাজ শুরু হবে জানিয়েছেন কর্মীরা এমনটাই জানা গেছে। এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর এদিন ডিআরএম (আদ্রা) নবীন কুমার স্পষ্ট জানিয়েছেন, “রেলের জমি দখল করে রাখা বেআইনি। এ দিন কাজ না হলেও জমি দখল মুক্ত করা হবে।” আপনার মতামত জানান -