ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে জাতীয় স্তরে বড়সড় আন্দোলন, বিক্ষোভে তৃণমূল সাংসদরা! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি August 9, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি ত্রিপুরাতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সংগঠনের তিন নেতা নেত্রীদের ওপর আঘাত নেমে আসার সাথে সাথেই এবং তাদের গ্রেপ্তার করার পরেই সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। গোটা বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে পৌঁছে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। আর এই পরিস্থিতিতে পুলিশের পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, নেত্রীদের ত্রিপুরাতে গ্রেপ্তার করা হলেও তার পরবর্তীতে তারা জামিন পেয়ে কলকাতায় ফিরে আসার সাথে সাথেই তৃণমূল কংগ্রেস যে এই ব্যাপারে জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হবে, সেই বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত ছিল বিশেষজ্ঞরা। আর সেই মতো করেই রবিবার দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তরা কলকাতা ফিরে আসার পরেই সোমবার এই ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ রীতিমত বিক্ষোভে নেমে পড়লেন। এদিন সংসদ ভবনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের। যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের। সূত্রের খবর, এদিন ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে সংসদের সামনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের সাংসদরা স্লোগান তুলতে শুরু করেন। যেখানে প্ল্যাকার্ড হাতে ত্রিপুরায় যেভাবে তাদের নেতা কর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট তৈরি করতে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ত্রিপুরার ঘটনাকে হাতিয়ার করে এবার সংসদে বিজেপিকে চাপে ফেলে দিতেই তড়িঘড়ি তৃণমূল সাংসদের এভাবে বিক্ষোভ দেখানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় ন্যাকারজনক ঘটনা ঘটেছে। গণতন্ত্র বলে সেই রাজ্যে কিছুই নেই। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমাদের যুব নেতাদের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, তারপর তাদের যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের অপমান।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয়বার ক্ষমতা দখল করার পর তৃণমূল কংগ্রেস আরও বেশি করে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দলকে বিস্তার করতে। আর সেই কারণেই ত্রিপুরা দিয়ে নিজেদের সর্বভারতীয় স্তরে জার্নি শুরু করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ত্রিপুরাতে তারা সংগঠন গঠন করতে উদ্যত হলে তাদের প্রতি বিজেপির সেখানকার সরকার এবং প্রশাসন বিমাতৃসুলভ আচারণ করছে বলে অভিযোগ করছে ঘাসফুল শিবির। যা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজনীতি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ত্রিপুরায় তাদের যুব নেতাদের ওপর হামলা এবং পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন তৃণমূল সাংসদরা। যার ফলে ভারতীয় জনতা পার্টি অত্যন্ত চাপের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -