এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দুর্নীতি দমনে CBI হানা দিলেই, ধর্নায় বসে চাপ বাড়াবেন মমতা? উদ্দেশ্য নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন

দুর্নীতি দমনে CBI হানা দিলেই, ধর্নায় বসে চাপ বাড়াবেন মমতা? উদ্দেশ্য নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিরোধী আমলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই ধরনা অনশনে পড়তে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু এখন আর তিনি বিরোধী নেত্রী নন, এখন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তার দায়িত্ব অনেকটাই বেড়েছে। করোনা ভাইরাস সামাল দেওয়া তার প্রধান লক্ষ্য বলে ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার সিবিআইয়ের মত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ক গ্রেপ্তার হতে না হতেই রীতিমত সিবিআই দপ্তরে গিয়ে উপস্থিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যাকে তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা ভালো চোখে নিলেও, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা কিন্তু ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে চর্চা শুরু করে দিয়েছে। বলা বাহুল্য, এই প্রথম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর আগেও কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন সিবিআই জেরা করতে পৌঁছে গিয়েছিল, তখন তড়িঘড়ি তার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পরবর্তীতে গোটা পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে কলকাতার ধর্মতলায় ধরনায় বসে পড়তে দেখা যায় তাকে।

আর তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিধায়ক মদন মিত্র গ্রেপ্তার হতে না হতেই আবার সিবিআই দপ্তরে উপস্থিত হতে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সিবিআই পদক্ষেপ নিলেই কেন বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কখনও ধরনা, আবার কখনও বা অবস্থানে বসে পড়ছেন? একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই আচরণ কি কাম্য! এখন তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নারদ কান্ডের ভিডিও ফুটেজ অনেকদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে সেই ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যাওয়া রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। একইভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর সেই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই সিবিআই দপ্তরে গিয়ে উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিবিআই আধিকারিককে তিনি জানিয়ে দেন, তাকেও গ্রেপ্তার করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই টালমাটাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই দপ্তরে অভিযান করে পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে আনার চেষ্টা করেছেন। সিবিআই দপ্তরে প্রবেশের পর টানা দীর্ঘক্ষন সেখানে চেয়ারে বসে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যে নাগাদ সেখান থেকে বের হতে দেখা যায় তাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের প্রশ্ন, সিবিআই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রাধীন একটি সংস্থা। সেক্ষেত্রে তারা যখন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন তদন্তে সহযোগিতা করা উচিত রাজ্য সরকারের। কিন্তু নিজের দলের বিরুদ্ধে বা নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কিছু গেলেই বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ণা বা প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। এবারেও তার কোনো ব্যতিক্রম হল না। কিন্তু একজন প্রশাসনিক প্রধান কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এইভাবে সোচ্চার হবেন বা অবস্থানে বসবেন! এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝেশুনেই এই কাজ করেছেন। আসলে তিনি ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন। কেননা শুধুমাত্র যারা সিবিআইয়ের হাতে আটক হয়েছেন তারা নয়, ভবিষ্যতে যদি সিবিআই এভাবেই তাদের ধরপাকড় প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে নারদ কান্ডে টাকা নিতে দেখা যাওয়া অনেক তৃণমূল নেতা এবং জনপ্রতিনিধির অস্বস্তি বাড়তে পারে। তাই ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা আটক হতে না হতেই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ যে চলবে, তা সিবিআই দপ্তরে উপস্থিত হয়ে দলের নেতা-কর্মীদের গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একচুল রাজনৈতিক জমি না ছেড়ে দেওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু কখনও রাজীব কুমার আবার কখনও বা দলের সতীর্থ তথা মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হওয়া খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!