এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > যত সময় যাচ্ছে জেলে, ততই বাড়ছে অসুস্থতা! গ্রেপ্তার হতেই ‘নয়া ট্যাক্টিক্স’ তৃণমূলী নেতাদের?

যত সময় যাচ্ছে জেলে, ততই বাড়ছে অসুস্থতা! গ্রেপ্তার হতেই ‘নয়া ট্যাক্টিক্স’ তৃণমূলী নেতাদের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সোমবার নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূলের সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এরমধ্যে মদন মিত্র দীর্ঘদিন সারদাকাণ্ডে জেলে ছিলেন। কিন্তু নারদা কান্ডেও এবার তার শ্রীঘর হয়েছে। আর প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেছেন একের পর এক হেভিওয়েট নেতা। সুব্রত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মদন মিত্র, এমনকি শোভন চট্টোপাধ্যায়ও অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করেছেন।

অনেকে বলছেন, এর আগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মদন মিত্রের মত নেতারা যখন দুর্নীতির দায়ে জেলে ছিলেন, তখন মাঝে মধ্যেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি থাকতে দেখা যেত। খুব কম সময়ে তারা শ্রীঘরে ঘরে ছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি এই বিষয় নিয়ে সেই সমস্ত নেতাদের সমালোচক মহলের একাংশ কটাক্ষ পর্যন্ত করেছিলেন।

অনেকেই বলেছিলেন, আসলে শ্রীঘরের যন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য শারীরিক যন্ত্রণাকে হাতিয়ার করছেন এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা। আর এবার নারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হতে না হতেই অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করলেন একের পর এক শাসক দলের নেতারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘ নাটকীয় টানাপোড়েনের পর অবশেষে জামিন হয়েও সেই জামিনের স্থগিতাদেশ জারি হয়। যার জেরে প্রেসিডেন্সি জেলে সোমবার রাতে নিয়ে যাওয়া হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

তবে মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় অন্যদিকে অসুস্থতা বোধ করেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় যার জেরে তাদের তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বলা বাহুল্য, প্রথমবার অসুস্থতা বোধ করায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে একবার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে আবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আবার অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছেড়ে দিয়েছেন। আর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আটক করার পর এই তৃণমূল নেতাদের একের পর এক অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঘটনা এখন নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি করেছে। অনেকেই সন্দেহের সুরে বলছেন, শ্রীঘরে থাকার অভ্যাস নেই কারোরই  রাজনৈতিক কারণে অনেকেই হয়ত বা জেলবন্দী হয়েছিলেন। কিন্তু তা সাময়িক সময়ের জন্য। তবে সিবিআইয়ের হাতে আটক হওয়ার পর কত দিনের জন্য তারা শ্রীঘরে থাকবেন, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নয় কেউই।

তাই এই পরিস্থিতিতে মামলার বেড়াজাল, চিন্তা ইত্যাদি সমস্ত কিছু গ্রাস করতে শুরু করেছে হেভিওয়েট এই নেতাদের। আর তাই অতীতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মদন মিত্রদের শ্রীঘরে থাকার সময় যেমনভাবে অসুস্থ হতে দেখা গিয়েছিল, ঠিক তেমনই প্রেসিডেন্সি জেলে পা রাখার পর থেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়রা। সমালোচক মহলের একাংশ প্রশ্ন করছেন, এটা কি সত্যিই অসুস্থতা? নাকি শ্রীঘরে থাকার সমস্যা এড়িয়ে যেতেই হাসপাতালে অসুস্থতার নাম করে থাকার বন্দোবস্ত করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা? প্রশ্ন এবং সন্দেহ ক্রমাগত দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!