এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা ভ্যাকসিনের সংরক্ষন ও বিতরণ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, জেনে নিন

করোনা ভ্যাকসিনের সংরক্ষন ও বিতরণ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বছরের গোড়ার দিকেই করোনার টিকা দেশে চলে আসার একটা সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে, করোনার ভ্যাকসিন ভারতে এলে, এর প্রথম ডোজ তিনি নেবেন। অন্যদিকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স বা এইমস এর ডিরেক্টর  রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন যে, সম্প্রতি ভারতের তিনটি কোম্পানির করোনা ভ্যাকসিন চূড়ান্ত ট্রায়ালে অবস্থান করছে। এদের ট্রায়ালও আশাব্যঞ্জক, তাই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুর দিকে চলে আসতে পারে করোনা ভ্যাকসিন।

সম্প্রতি ভারত বায়োটেক, জাইদাস ক্যাডিলা ও সেরাম ইনস্টিটিউট এর করোনার ভ্যাকসিন গবেষণায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সেরাম ইনস্টিটিউট এর ভ্যাকসিন ট্রায়ালের তৃতীয় স্তরে অবস্থান করছে। ভারত বায়োটেক এর কোভ্যাক্সিন পশুর দেহে সফলভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে। যা রেসাস প্রজাতির বাঁদরের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের যুগ্মসচিব ডক্টর মনোহর আগনানি জানিয়েছেন, ” টিকার ডোজ চলে এলে কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। সব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির টিকার ফর্মুলা এক নয়। তাই টিকার ভায়াল কতদিন কোল্ড স্টোরেজে রাখতে হবে, কত তাড়াতাড়ি বিতরণ করতে হবে, তার একটা গাইডলাইন তৈরি করা প্রয়োজন। বেশিদিন টিকার ভায়াল কোল্ড স্টোরেজে রাখলে তার ডোজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া একবার ভায়ালের সিল খুললে তাকে ফের রেফ্রিারেটারে ঢোকানো সম্ভব নয়। তাই কী পরিমাণ ডোজ দেওয়া হবে সেটা আগে থেকেই ঠিক করে নেওয়া দরকার। ভাইরাল স্ট্রেন নিষ্ক্রিয় করে বা ভেক্টর ভাইরাসের সঙ্গে মিলিয়ে টিকা তৈরি হচ্ছে। কাজেই ভাইরাল স্ট্রেন তাজা রাখতে টিকার তরলকে প্রচণ্ড ঠান্ডায় সংরক্ষণ করতেই হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ” যদি কোনও ভায়ালের ডোজ ব্যবহার করা না হয়, তাহলে সেই সিল করা ভায়াল কম করেও মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতেহবে। তবে কোন টিকা কী তাপমাত্রায় সংরক্ষিত হবে সেটা নির্ভর করবে টিকার বৈজ্ঞানিক উপাদান ও তার তৈরির পদ্ধতির উপরে। যেমন, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার ডিএনএ টিকা সংরক্ষণের জন্য ঠান্ডা ঘর দরকার আবার আমেরিকার মোডার্না ও ফাইজারের আরএনএ টিকা টাটকা রাখতে ডিপ ফ্রিজ দরকার। আবার বিমানে চাপিয়ে যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে টিকার ভায়াল নিয়ে যাওয়া হবে তখন বিমানে হয় বড় ডিপ ফ্রিজের ব্যবস্থা রাখতে হবে না হলে বিকল্প উপায় ভাবতে হবে। ”

তবে, এ বিষয়ে গবেষকেরা জানিয়েছেন যে, শুষ্ক বরফ বা ড্রাই আইস ব্যবহার করে টিকার ভায়ালকে সহজেই সংরক্ষন করা সম্ভব। শুষ্ক বরফ হলো ঠান্ডা কার্বন-ডাই-অক্সাইড। যার তাপমাত্রা ন্যূনতম – ৭৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। টিকা সংরক্ষণ করতে শুষ্ক বরফের ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। তবে এখানেও একটা সমস্যার কথা বিজ্ঞানিরা জানিয়েছেন, যা হল সমস্ত টিকাই দীর্ঘকাল ধরে সংরক্ষণ করা যায় না। ডিপ রেফ্রিজারেটারে ১৪ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। তবে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভায়াল খুললে তা ৬ ঘন্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।

আগামী ১৫ ই অক্টোবরের মধ্যে দেশের সমস্ত রাজ্যগুলিকে করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও টিকা বিতরনের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ পরিকাঠামোর গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের যুগ্মসচিব ডক্টর মনোহর আগনানি বলেছেন, ” টিকার কোল্ড স্টোরেজের জন্য সব রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। টিকার ডোজ চলে এলে তা বিতরণের জন্য কর্মসূচীও ঠিক করতে হবে। ল্যাবরেটরি থেকে টিকা কীভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে দেশের বিভিন্ন জায়গায়, টিকার সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য দ্রুত পরিকল্পনা ঠিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। “

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!