এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেতাদের “সরকারি পদ পাইয়ে দিতে” বড়সড় পদক্ষেপ সরকারের! শুরু তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর!

তৃণমূল নেতাদের “সরকারি পদ পাইয়ে দিতে” বড়সড় পদক্ষেপ সরকারের! শুরু তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর!


যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তখন তারাই নিজেদের মত করে নিজেদের লোকদের নানা সরকারী কমিটিতে বসাতে শুরু করেন। বঙ্গ রাজনীতিতে এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আর এবার শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বোর্ডে পৌরসভার প্রাক্তন ছয় কাউন্সিলরকে রাখা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হল। জানা গেছে, এই এসজেডিএ-এর পরিচালন বোর্ডের নতুন করে পুনর্গঠন করেছে রাজ্য সরকার।

গত 22 মে পুর এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই বোর্ডের সদস্য হিসেবে 21 জনের নাম রাখা হয়। যার মধ্যে ছয় জনকে নতুন সদস্য হিসেবে দেখা গেছে। জানা গেছে, নতুন সদস্যের মধ্যে যারা রয়েছেন, তারা হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলার রঞ্জন সরকার, নান্টু পাল, রঞ্জন শীলশর্মা, দুলাল দত্ত, নিখিল সাহানি এবং পরিমল মিত্র।

বর্তমানে এই নান্টু পালকে এই বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আর এই ঘটনার পরেই বিরোধীদের তরফে সরকারের এই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে তোলা হয়েছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, শিলিগুড়ি পৌরসভায় প্রশাসক বোর্ডে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলররা কোনো সুযোগ পাননি। তাই তাদের এসজেডিএর বোর্ডে শামিল করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সেখানে শাসক দলের প্রতিনিধিদের রাখার হলেও, কেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের রাখা হল না, তা নিয়ে বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বামফ্রন্টের এক নেতা বলেন, “বিগত বাম জমানায় এসজেডিএর পরিচালন বোর্ডের সদস্য হিসেবে বিরোধীদের রাখা হত। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোর্ড পরিচালনা করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হত। এখন ওরা গণতন্ত্রের ধার ধারে না। তাই একতরফাভাবে বোর্ড গঠন করেছে। নিয়ম অনুসারে এই বোর্ডের 13 জন সদস্য হওয়ার কথা। কিভাবে বর্তমান বোর্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল, তাও স্পষ্ট নয়।”

একইভাবে এই ব্যাপারে সরব হয়েছেন শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, “বর্তমান বোর্ড রাজনৈতিক নাকি উন্নয়নের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।” তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই বোর্ডের সদস্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল। এদিন এই প্রসঙ্গে অশোকবাবুকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এই ব্যাপারে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা এসজেডিএর সদস্য রঞ্জন সরকার বলেন, “বিরোধীদের বক্তব্য নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না। এখানে বিতর্কেরও কিছু নেই। এই শহরের উন্নয়নমূলক কাজে আরও গতি আসবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে এসজেডিএর এর চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, “এতদিন বোর্ডে শিলিগুড়ি শহরের কোনো সদস্য ছিলেন না। এবার বোর্ডের সদস্য হিসেবে শহরের এই বাসিন্দাদের মনোনীত করেছে রাজ্য সরকার।

এতে শিলিগুড়ি শহরের পক্ষে ভালো হল।” তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই কথা বলা হলেও, বিরোধীরা যেভাবে গোটা বিষয়টিকে তৃণমূল নেতাদের পদ পাইয়ে দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছে, তাতে শাসকদলের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!