এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রশাসক নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে প্রশাসন, এই তিন পৌরসভা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

প্রশাসক নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে প্রশাসন, এই তিন পৌরসভা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা


করোনা ভাইরাসের কারণে নির্বাচন না হওয়ায় একের পর এক পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে সেই সমস্ত মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ার তিনটি পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানদেরই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে পুরুলিয়ার তিনটি পৌরসভার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় তৈরি হয়েছে জল্পনা।

বস্তুত, রবিবার বিষ্ণুপুর পৌরসভা, সোমবার সোনামুখী পৌরসভা এবং মঙ্গলবার বাঁকুড়া পৌরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই 3 পৌরসভার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যানকে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। পাশাপাশি সেই বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে ভাইস চেয়ারম্যানকে। এদিন এই প্রসঙ্গে 3 পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানরা বলেন, “প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই দায়িত্বে থেকে কাউন্সিলরদের সাহায্য নিয়ে পৌরসভার কাজকর্ম চালিয়ে যাব।”

এদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শুধুমাত্র পৌরসভার চেয়ারম্যানদের প্রশাসক বোর্ডে স্থান দেওয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র বলেন, “প্রশাসনিক আধিকারিকদের বদলে দলীয় লোকজনকে ক্ষমতায় বসিয়ে তৃণমূল ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, “পৌরসভার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার স্বার্থেই এটা করছে তৃণমূল। প্রশাসক বসলে বিরোধীদের কোনো ভূমিকাই থাকবে না।” তবে এই তিন পৌরসভায় প্রশাসক বসলেও, পুরুলিয়া জেলার 3 পৌরসভায় মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় চলে আসলেও, প্রশাসক বসানো নিয়ে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

জানা গেছে, আগামী 27 মে পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর এবং ঝালদা পৌরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে এই পৌরসভাগুলোর ক্ষেত্রে বর্তমান চেয়ারম্যানদেরই দায়িত্ব দেওয়া হয় কিনা, তার দিকে নজর রয়েছে সকলেরই। জানা গেছে, তিনটি পৌরসভাই বর্তমানে তৃণমূলের দখলে রয়েছে। ফলে সেদিক থেকে অন্যান্য পৌরসভার মত এখানেও তৃণমূলের বর্তমান চেয়ারম্যানদের প্রশাসক করতে পারে রাজ্য সরকার বলে মনে করছে একাংশ। যদিও বা এই ব্যাপারে বিরোধীদের তরফ থেকে শোনা যাচ্ছে বিরোধিতার সুর।

এদিন এই প্রসঙ্গে রঘুনাথপুরের সিপিএম নেতা লোকনাথ হালদার বলেন, “পুরপ্রধানকেই যদি প্রশাসক নিয়োগ করা হয়, তাহলে আমরা চাই, পৌরসভায় আমাদের দলনেতাকে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য করা হোক।” একইভাবে এই ব্যাপারে পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের সরকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের দখলে থাকা বোর্ডগুলোতে পৌরপ্রধানদের প্রশাসক করছে। আর বিরোধীদের হাতে থাকা পৌরসভায় পরিচালন কমিটি করে সেখানে নিজেদের দলের কাউন্সিলরদের রেখে দিচ্ছে।” তবে এভাবে কোনো জনপ্রতিনিধিকে প্রশাসক না করে, প্রশাসনের কোনো পদস্থ আধিকারিককেই প্রশাসক করার ব্যাপারে আর্জি জানিয়েছেন ঝালদা পৌরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কাদু।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন পৌরসভায় বিদায়ী চেয়ারম্যান এবং মেয়রদের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান করছে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে বিরোধীদের দখলে থাকা পৌরসভাগুলোতে একই নিয়ম পালন করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যকে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে শাসকদলের দখলে থাকা অনেক পৌরসভায় বিরোধীদের প্রশাসক বোর্ডে স্থান দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এবার সামনেই মেয়াদোত্তীর্ণ হতে চলা পুরুলিয়া জেলার পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার, তার দিকেই নজর রয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!