পিছনে কি ‘টাকার খেল’? শিক্ষক বদলি নিয়ে সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ কলকাতা রাজ্য July 22, 2018 শিক্ষক বদলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে। যদিও দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া, তবুও জেলায় মাঝে মধ্যেই ‘টাকার বিনিময়ে’ শিক্ষক বলদি হচ্ছে বলেই শিক্ষক সংগঠনের একাংশ দাবী জানাচ্ছেন। মোটা টাকার বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে গোপনে এ কাজ সারা হচ্ছে বলেও জানান তাঁরা। আসলে বহুদিন যাবৎ বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় ফের আবার এটা চালু হওয়ায় সম্ভাবনার আশা একরকম ছেড়েই দিয়েছেন অনেকে। এছাড়া অভিযোগে তাঁরা আরো দাবী করছেন, কোনো শিক্ষক বদলি হতে চাইলে তাকে পছন্দের বিদ্যালয় এবং বর্তমান বিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য দিতে হচ্ছে। এর জেরে কার্যত সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষকমহল। তাই এই মাথা ব্যাথা এড়াতোই দালাল দের মোটা টাকা ধরাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন তাঁরা। দালালরাই সেই ব্যক্তির নামে মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করে কোলকাতা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তারপর বাকি কাজটা এমনিই হয়ে যাচ্ছ,এমনটাই গুঞ্জন। উল্লেখ্য,গত এক বছরে ২০ জনেরও বেশি শিক্ষকদের বদলি হয়েছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক এই অভিযোগকে একরকম অস্বীকার করেই বলেন শিক্ষকদের বদলি হলে তাঁরা আগে জানবেন। এমন কোনো অভিযোগের কথা তাঁর জানা নেই। এই অভিযোগের কথা বিস্তারে জানতে তিনি ডিআই-কে জিজ্ঞেস করবেন বলেও জানালেন এদিন। অন্যদিকে,নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক শংকর ঘোষ আবার জানান যে,দীর্ঘ ৪ বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। তবে প্রতি মাসেই কিছু কিছুই শিক্ষক বদলি হচ্ছে,এমন খবর এসেছে। কিন্তু কোন নিয়মে হচ্ছে এটা শিক্ষাদপ্তরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁরা পরিস্কার জানাচ্ছেন না। আর এ প্রসঙ্গে দালাল চক্রের অভিযোগটাকেও স্বীকার করলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক তৃণমূল সমিতির বালুরঘাট ব্লক সভাপতি ব্রতীন রায় এ প্রসঙ্গে জানান, তাঁদের সংগঠনের সিংহভাগ শিক্ষকই বাড়ি থেকে বেশ দূরেই শিক্ষকতা করেন। তাঁদের তরফ থেকে এ নিয়ে একাধিক আন্দোলন হলেও বদলি প্রক্রিয়া চালু করা যাচ্ছে না। তবে গোপনে কিছু কিছু শিক্ষক এ প্রক্রিয়া সারছেন দালালদের মোটা টাকা দিয়ে। এসব বলার পর তিনি এটাও জানান যে এই দুর্নীতি অবিলম্বে বন্ধ করে অবিলম্বে বদলি প্রক্রিয়া চালু করা উচিৎ। তবে শিক্ষকদের একাংশই আবার অভিযোগে জানিয়েছেন যে বদলি হওয়া অনেক শিক্ষকদের সিংহভাগই সুস্থ সবল রয়েছেন। এদিকে,প্রকৃত অসুস্থ অনেকেই বাড়ি থেকল দূরদূরান্তে রয়েছেন চাকরির উদ্দেশ্যে। তাঁরা বদলির জন্য দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেও মিলছে না নিস্তার। বদলি করা হচ্ছে না তাঁদের। উল্লেখ্য,এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ ভিন্ন মতামত দিলেন প্রাথমিক জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মৃণাল কান্তি সিংহ রায়। তিনি জানান, কিছু শিক্ষক বদলি হয়েছে ঠিকই। তবে তা সম্পূর্ণই রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশ মতোই হয়েছে। আপাতত এই ইস্যু নিয়ে তুমুল আলোড়ন রয়েছে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরে,এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে। আপনার মতামত জানান -