এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমফান মিটলেও স্বাভাবিক হচ্ছে না পরিস্থিতি, আমফানের প্রভাবে দেখা দিতে পারে এই অসুখ!

আমফান মিটলেও স্বাভাবিক হচ্ছে না পরিস্থিতি, আমফানের প্রভাবে দেখা দিতে পারে এই অসুখ!


কোনোরকমে সামাল দেওয়া গেছে ভয়াবহ সাইক্লোন আমফান। প্রায় অনেকদিন পর এরকম ভয়াবহ দূর্যোগ দেখেছে রাজ্যবাসী। প্রতিনিয়ত ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্যে দিন কাটাতে অভ্যস্ত সুন্দরবনের মানুষ। কিন্তু এবারের ঝড় তাদের কাছে সত্যিই নয়া আতঙ্ক তৈরি করেছে। তবে যেহেতু তারা প্রায় প্রতিবছর এরকম ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্যে দিয়ে দিন কাটান, সেহেতু এই দুর্যোগ সামলে ওঠার পর তাদের কাছে আসে একটি নতুন দুর্যোগ। তাই এবারে ভয়াবহ সাইক্লোনের মোকাবিলা করা গেলেও, আসন্ন দুর্যোগ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সুন্দরবনের মানুষের।

জানা গেছে, প্রত্যেকবার ঝড়, জলের পর পেটের অসুখ আক্রমণ করতে শুরু করে এখানকার মানুষকে। বর্তমানে অসংখ্য বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে প্রচুর জল পুকুরের জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। মানুষের ঘরে জল না থাকায় তারা যদি সেই সমস্ত জল এখন পান করেন, তাহলে আন্ত্রিক রোগে ছেয়ে যাবে গোটা এলাকা। যার ফলে আবার এক নতুন মহামারীর সম্মুখীন হতে পারে সুন্দরবন।

যা নিয়ে এখন চিন্তা তৈরি হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে এই মহামারী আটকাতে পঞ্চায়েতের তরফের সচেতনতা গ্রহণ করা হচ্ছে। ব্লিচিং, চুন ছিটিয়ে পরিষ্কার রাখা হচ্ছে এলাকা। পাশাপাশি নষ্ট না হওয়া পুকুরের জল যাতে সকলে পান করেন, তার জন্য প্রচার করছে পঞ্চায়েত। তবে এতসব সত্ত্বেও যদি কারও কোনো অসুবিধা হয়, তাহলে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাকে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের কর্মী শ্যামল বাগ বলেন, “এর আগেও এই কাজ করেছি। কিন্তু এমন দিশেহারা কখনও লাগেনি। লাখে লাখে মাছ, পাখি, মুরগি গুড়িয়ে শেষ করতে পারছি না। আগে এক বিঘা জমির জল যতদিন লাগত, এখন তার চেয়ে অনেক বেশি লাগছে। কারণ এত প্রাণী আগে কখনও মারা যায়নি। জলের এই অবস্থা হওয়ায় যে মাছ চাষ হয়েছিল, তা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেল। এ ক্ষতি যেন চোখে দেখা যায় না।”

এদিকে এই ব্যাপারে সুন্দরবন এলাকায় কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী দিগন্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “খাবার, ত্রিপলের যতটা দরকার, ঠিক ততটাই ব্লিচিং, জিওলিনের দরকার। তবে এসব দিয়েও যে বিপদ এড়ানো যাবে, তা বলা যায় না। তাই জল সরতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর মেডিকেল সহায়তা দিতে হবে মানুষকে। যত সম্ভব শিবির করতে হবে। বন্যায় ভেসে যাওয়া মানুষদের সাহায্য করার এটাই সব থেকে জরুরি পর্যায়।”

তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এতসব সত্ত্বেও আতঙ্ক কমছে না কিছুতেই। কারণ তারা অতীত দেখেছেন। আর অতীতের থেকে এবারের ঝড় তাদের কাছে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তাই আন্ত্রিক রোগে ভুগে আবার একটা মহামারী হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।

এদিন এই প্রসঙ্গে গোসাবা এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত মন্ডল বলেন, “প্রতিবারই এমন হয়। জল সরার পরেই পেটের অসুখ যেন দৈত্যের মত আক্রমণ করে। এবার পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন। এবার যদি গুটিকয়েক পুকুরে জল ঢুকে যায়, মানুষ বাধ্য হয়ে এই জল খাবে। আর তখনই আন্ত্রিক দেখা দেবে এলাকাজুড়ে।” তবে পঞ্চায়েতের তৎপরতা এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এখন আমপানের পর সুন্দরবনে এই মহামারী রোখা কতটা সম্ভব হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!