রাজ্যের আর কয়েকদিন পরেই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সমস্ত তাহলে প্রার্থী নেই নিজেদের প্রচার নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে বিজেপিতে আসা তৃণমূল নেতা নেত্রীরা ফিরছেন তৃণমূলে। সবদিক থেকেই তৃণমূলের ফের কপাল খুলছে বলে মনে করা হচ্ছিল।

কিন্তু এরই মাঝে বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটালেন মুকুল রায়। এদিন তিনি দাবি করেছেন উপনির্বাচন মিটলেই রাজ্যে গেরুয়া ঝড় উঠতে চলেছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো হিড়িক পড়ে যাবে। এদিকে সে খবর সামনে আসে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছিল এবার। এবার ফের বড়সড় ধামাকা সামনে এলো।

গুঞ্জন ছড়িয়েছে বড় সংখ্যাক বিধায়কের নামের তালিকা তিনি তুলে দিয়েছেন অমিত শাহের হাতে। শীর্ষ নেতৃত্ব নাকি গ্রিন সিগন্যাল দিলেই শীঘ্রই তৃণমূল ছেড়ে বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। এখানেই শেষ নয় গুঞ্জন এও বিধায়কদের তালিকায় রয়েছেন মমতার অতি ঘনিষ্ঠ অনেকেই।

আর এই খবর সামনে আসতেই এখন তৃণমূলের অন্দরে মিলছে না হিসেব। কে রয়েছেন আর কে নেই সেই নিয়েই ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। আগে থেকে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নাকি নিজেদের দলের নেতা-নেত্রীদের বিশ্বাস করতে পারছেনা আর তার জেরেই সবার ফোন ট্যাপ করা আছে। সম্প্রতি সেই অভিযোগকে আরো উস্কে দিয়ে সায়ন্তন বসু দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতারা নাকি বিজেপির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করছেন।

এমনকি কয়েক দিন আগে মুকুল রায় দাবি করেছেন বিজেপিতে আসতে চেয়ে অমিত শায়ের কাছে ১০৭ জন বিধায়ক চিঠি দিয়েছেন।রয়েছেন দেবশ্রী রায় ও। গ্রিন সিগন্যাল পেলেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। আবারআজ খবর সামনে এলো অনেক বিধায়ক মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন আর তারা বিজেপিতে আসতে আগ্রহী আর সেই কারণেই তাদের সমস্ত তথ্যসমূহ এবার অমিতের কাছে পাঠিয়েছেন। অমিত শাহ মুকুল রায় গ্রীন সিগন্যাল দিলেই জলের তোড়ে এর মতন ভাঙবে তৃণমূল।

তবে এই নিয়ে এখন পর্যন্ত মুকুল রায় কিছু বললেন নি। আর তার জেরেই জল্পনা আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে তবে কি তিনি চুপি চুপি কাজ সারতে চাইছেন। এখন আগামী দিনে তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল।