নেতাদের ‘ঝাঁ চকচকে বাড়ি’ পঞ্চায়েতে সবথেকে বড় বিরোধী মানছেন শাসকদলের নেতারাও বিশেষ খবর রাজ্য January 9, 2018 বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন তখন প্রায়ই বামনেতাদের ব্যঙ্গ করে তাঁদের আর্থিক দুর্নীতির কথা বোঝাতে উদাহরণ দিয়ে বলতেন যাঁরা একসময় একটা বিড়ি দুবারে খেতেন, তাঁরাই এখন বড়বড় সিগারেট খাচ্ছে। আর রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে কমবেশি তাঁর দল সম্পর্কেও, বিশেষ করে নীচুতলার নেতাদের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিরোধীদের অভিযোগটাও একই রকম। আর শুধু বিরোধী শিবিরই বা কেন, খড় ও টালির চালা সরিয়ে হঠাৎ করে ঝাঁ চকচকে পাকা বাড়ি কিংবা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন শাসকদলের একশ্রেণীর নেতা-কর্মীরাই। তাঁদের অভিযোগ ২০১৬ এর বিধানসভায় যেকটা আসনে হারতে হয়েছিল তার বেশিরভাগের পিছনে ছিল এই স্থানীয় নেতাদের ফুলে ফেঁপে ওঠা যা দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে নিয়ে গিয়ে দলের মধ্যেই তৈরি করেছিল ‘আত্মঘাতী বাহিনী’। আর তাই শাসকদলের এক বড় অংশ, যাঁরা বিশেষ করে আদি তৃণমূলী, প্রকারন্তরে মেনে নিচ্ছেন আসন্ন পঞ্চায়েতে বিরোধী শক্তির কাছে যত না পরাভূত হওয়ার ভয়. তার থেকেও বেশি ভয় এই ‘আত্মঘাতী বাহিনী’ আর স্থানীয় নেতাদের গত ছবছরের মধ্যে ঈর্ষনীয় আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনে সাধারণ মানুষের চোখ টানা। আর তাই এই দুই ‘ভূতকেই’ তাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের উদাহরণ গুলিকে সামনে রেখে এখন থেকেই পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি শুরু করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়তে চাইছেন শাসকদলের নীচুতলার নেতারা। আর তার জন্য বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে ২০১৬ তে হারা বা খুব অল্প ব্যবধানে জয়ী হওয়া আসনগুলির দিকেই। কেননা বিরোধীরা যেখানেই প্রার্থী দেবেন সেখানেই স্থানীয় নেতাদের এই ‘আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি’ নিয়ে জোরালো প্রচার করবেনই। সুতরাং পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী শক্তি নয়, এই দুই ‘গাঁটই’ ঘুম করতে চলেছে শাসকদলের বলে মনে করছেন দলেরই একাংশ। আপনার মতামত জানান -