এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লক্ষ্মণ শেঠ দলে আসায় কংগ্রেসের ভাঙ্গা সংগঠন কি আরও ভেঙ্গে পড়ল? গোষ্ঠীকোন্দলে উঠছে প্রশ্ন

লক্ষ্মণ শেঠ দলে আসায় কংগ্রেসের ভাঙ্গা সংগঠন কি আরও ভেঙ্গে পড়ল? গোষ্ঠীকোন্দলে উঠছে প্রশ্ন


একসময় তমলুকের দাপুটে সিপিএমের প্রাক্তন নেতা লক্ষ্মণ শেঠের হাত ধরে অনেক কংগ্রেস কর্মীর জীবন গিয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে বামেদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তোপ দাগা হলে সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই লক্ষণ শেঠই কংগ্রেসে আসায় আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল গোটা রাজনৈতিক মহল।

এমনকি খালি কংগ্রেসে যোগ দেওয়াই নয়, লক্ষ্মণ শেঠকে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেসের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে দলের একাংশের মধ্যে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়। আর এবার সেই লক্ষন শেঠকে নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের আঁচ দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের অন্দরেও।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে তমলুক শহরে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিন তমলুক শহরের নিমতলা লাগোয়া একটি সরকারি গেস্ট হাউসে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন ব্লকের সভাপতি, প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা একটি বৈঠকে বসেন।

অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানিক ভৌমিকের নেতৃত্বে কংগ্রেসের পার্টি অফিসের কাছে ধর্মশালায় দলীয় প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়ে একটি সভা ডাকা হয়। আর লোকসভা ভোটের আগে জেলায় একই দিনে কংগ্রেসের দুটি বৈঠক ঘিরে দলীয় প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়ে যে দলেরই একাংশের মতবিরোধ রয়েছে তা এক কথায় স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে নিমতলা এলাকার সভায় উপস্থিত হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক তথা জেলা কংগ্রেসের অন্যতম নেতা ক্ষীতিন্দ্রমোহন সাহু এবং জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি শেখ আনোয়ার আলী বলেন, “প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সব ব্লক সভাপতিরা দায়িত্বে রয়েছেন। তাই কেউ বা কারা ব্লক সভাপতিদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুজব যেভাবে ছড়াচ্ছেন, তা ঠিক নয়।”

অন্যদিকে লক্ষ্মণ শেঠকে  আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে ।  জানা যাচ্ছে যে  লক্ষ্মণ শেঠকে কিছুতেই প্রার্থী করা না হয় তার জন্য প্রদেশ এবং আইসিসিকে চিঠি পাঠিয়েছেন  এই কংগ্রেস নেতারা। অন্যদিকে তমলুকের কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়ে এদিন দলের তরফে জেলা সভাপতির নেতৃত্বে একটি পৃথক সভায় জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মানিক ভৌমিক বলেন, “দলের নিয়ম অনুযায়ী জেলা সভাপতি বদলের সঙ্গে সঙ্গে ব্লক কমিটি ভেঙে যায়‌। আর সেই কারণেই ভোটের মুখে নতুন সভাপতি ঘোষণা করে নির্বাচনী কমিটি করা হয়েছে। আর লক্ষ্মণ শেঠকে দলের ওয়ার্কিং কমিটি প্রার্থী ঠিক করেছে। কংগ্রেস দল করতে গেলে আগে ওরা ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত মানবে কিনা সেটা পরিষ্কার করুন। সত্যিই এটা দুর্ভাগ্যজনক।”

সব মিলিয়ে এবার সদ্য দলে যোগ দেওয়া তমলুকের কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের অন্দরে যে চোরা স্রোত বইতে শুরু করেছে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!