এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘আপনাদের অবস্থা লক্ষণ শেঠ, অনিল বসু, বিনয় কোঙারদের মতই হবে।’ আক্রমণ শুভেন্দুর

‘আপনাদের অবস্থা লক্ষণ শেঠ, অনিল বসু, বিনয় কোঙারদের মতই হবে।’ আক্রমণ শুভেন্দুর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শুধু সময়ের অপেক্ষা। খুব দ্রুত তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলবদল করতে পারেন বলে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে কি করবেন শুভেন্দু অধিকারী! তা এখনও পর্যন্ত তিনি স্পষ্ট করেননি। আর এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতার দম্ভের কথা তুলে ধরে বেশকিছু সিপিএম নেতার নাম নিয়ে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই কি বার্তা দিতে চাইলেন শুভেন্দুবাবু! এখন তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, আজ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বাধিনায়ক সতীশ সামন্তের জন্মদিন উপলক্ষে হলদিয়া একটি স্মরণ সভায় উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই বেশকিছু সিপিএম নেতার নাম নিতে দেখা যায় তাকে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি ব্যক্তি আক্রমণে বিশ্বাস করি না। কেউ কেউ আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করছেন। তারা অনেকে উচ্চ পদে রয়েছেন। আপনারা বুঝতে পারবেন। আর কদিন বাদেই জনগণ যখন ঙটঘেরা জায়গায় যাবেন, আর ঠিক জায়গায় ভোট দিবেন, দেখবেন, আপনাদের অবস্থা লক্ষণ শেঠ, অনিল বসু, বিনয় কোঙারদের মত হবে।”

আর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মুহূর্তে তার এই ধরনের মন্তব্য এখন চর্চার চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যখন দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছিলেন, তখন তৃণমূলের অনেক নেতা তার নাম না নিয়ে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছিলেন। এমনকি অনেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে তাকে আলু বিক্রি করতে হত বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। যার পরেই একের পর এক পদ থেকে সরে আসতে শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিনের সভা থেকে পদ না থাকলেও মানুষ যে তার সঙ্গে আছে, তা নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। তবে যেভাবে সিপিএম নেতাদের কথা তুলে ধরে কদিন পরেই নির্বাচনের পর এই উচ্চপদে থাকা নেতাদের কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী, তাতে তিনি তার বর্তমান দল তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের নেতাদের বার্তা দিলেন বলে দাবি করছেন একাংশ। যার ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্বকে আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করে তুললেন।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি একটা কথা বলে দিতে চাই, শুভেন্দু অধিকারী পদ লোভ করে না। অনেকে বলেছিলেন, পদ দেখিয়ে লোক আনছে। আগে পদ ছাড়ুক, তারপর দেখব কজন লোক থাকে! 27 নভেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছি। সমস্ত সরকারি পদ ছেড়ে দিয়েছি। এই যে এত মানুষ এসেছেন, তারা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য আসেনি। বিজেপি বা সিপিএমের জন্য আসেননি। এদের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। সারা বছর এদের সঙ্গে থাকি। শুধু ভাষণ না, এদের রেশনের জন্য কথা বলি।”

একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যখন দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছিলেন তখন ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে তাকে বার্তা দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করেছিলেন। যার ফলে সমস্ত রকম পথ থেকে সরে এসে সেই সমস্ত নেতাদের পাল্টা বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এদিন এই স্মরণসভার অনুষ্ঠান থেকে তার ডাকে এত মানুষ এসেছেন তুলে ধরে পদ না থাকলেও তিনি মানুষের সঙ্গে থাকেন বলে সেই সমস্ত নেতাদের বুঝিয়ে দিতে চাইলেন শুভেন্দুবাবু বলে দাবি একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল যে, তিনি আর তৃণমূল কংগ্রেসে তেমনভাবে সক্রিয় হচ্ছেন না। কেননা যেভাবে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতাদের এদিনের সভা থেকে কার্যত কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, তাতে তার তৃণমূল কংগ্রেস দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে যাই বলুন না কেন তৃণমূলের অনেকেই আড়ালে-আবডালে স্বীকার করে নেন যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর দলে গ্রহণযোগ্যতা থেকে শুরু করে সাংগঠনিক ক্ষমতা যদি কারো বেশি থাকে তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বানানোর পরেও তৃণমূলের অনেকে তাকে গুরুত্ব দিতে রাজি ছিলেন না।

প্রায় সকলেই দলের প্রতি আনুগত্য পোষণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কারো কোন দাগ নেই বলে দাবি করেছিলেন কিন্তু এদিনের অনুষ্ঠান থেকে শুভেন্দু অধিকারী জনসমাগম করে কার্যত প্রমাণ করে দিলেন যে ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারী হিসেবে তার যথেষ্ট প্রভাব এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে অন্তত পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে এই ধরনের দাবি করে শুভেন্দু অধিকারী কিছুদিন আগে ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যের জবাব দিয়ে দিলেন বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর এখানেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্কের প্রায় শেষ দিন চলে এল! এবার কি নিজের মত করে নিজের ছন্দে পথ চলবেন তিনি? কী করবেন শুভেন্দু অধিকারী! যেভাবে তিনি নাম না করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের বার্তা দিলেন, তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!