অনুব্রত মণ্ডলের “উন্নয়ন বাহিনীকে” আর ভয় করছে না মানুষ? বীরভূমের রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য April 3, 2019 রাজ্য রাজনীতিতে বীরভূম সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করতে দেখা গেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলোকে। যে ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। আর এবার লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজতে না বাজতেই ফের সেই বীরভুমের বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিরোধীদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, গত রবিবার বোলপুরের নানুর বিধানসভার অন্তর্গত সিঙ্গি পঞ্চায়েতের বড়ডিহি গ্রামে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা যখন দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন, ঠিক সেইসময় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের পতাকা উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরপরই এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পরদিন অর্থাৎ সোমবার বিকেলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বোলপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করলে সেই মিছিল থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করে বিজেপি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাল্টা তাদের উপরই বিজেপি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃনমূল। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে বিজেপি কর্মী বাপি মাঝির মা মিনতীদেবী বলেন, “বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূল কর্মীরা আমাদের ঘরে ঢুকে মারধর করার পাশাপাশি সবকিছু ভেঙে দিয়েছে।” অন্যদিকে গ্রামে বিজেপির কোনো অস্তিত্ব নেই। তারা সন্ত্রাস ছড়িয়ে মারধর করে টিকে থাকতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী মৃণাল মন্ডল। কিন্তু এই ব্যাপারে ঠিক কী বলছে জেলা বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্বরা? এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এটা একটা গ্রাম্য বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।” অন্যদিকে বিগত পঞ্চায়েতের মতো লোকসভাতেও সন্ত্রাস করে তৃণমূল জিততে চাইছে বলে অভিযোগ করেন বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। সব মিলিয়ে এবার লোকসভার দামামা বাজতে না বাজতেই শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে বীরভূম। আপনার মতামত জানান -