বিজেপির পাল্টা সভায় একদিকে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন, অন্যদিকে বিজেপিকে তোপ তৃণমূলের পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া বিশেষ খবর রাজ্য July 2, 2018 পুরুলিয়ার শিমুলিয়া ময়দানে এসে এবার বিজেপিকে কড়া ভাষায় তোপ দাগলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা। গত বৃহস্পতিবার ঠিক এই জায়গাতেই আয়োজিত হয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহের প্রকাশ্য জনসভা, আর গতকাল ঠিক সেই একই স্থানে পাল্টা জনসভা করে নিজেদের শক্তি ও বিপুল জনসমর্থনের প্রমান দিল পুরুলিয়ার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ত্ব। গতকালের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন এই মুহূর্তে তৃণমূল জনতার নয়নের মনি পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সহ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা ও অন্যান্য শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা। এদিন জনসভায় এসে রাজ্যের গুরুত্ত্বপূর্ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, সিপিএমের শাসনকাল থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য উদ্ভব হয়েছিল তৃণমূলের। গুজরাটে আন্দোলনের নামে বিজেপি নিরীহ মানুষদের প্রাণে মেরে ফেলেছে। এবারে পুরুলিয়ায় এসে মানুষকে ভুল বোঝাতে চাইছে, কিন্তু মানুষ জানে সত্যি কি। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নায়ক শুভেন্দু ও দলনেত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে তাঁদের অধিকার পেতে সাহায্য করেছে। অমিত কটা আন্দোলন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যে মানুষ তাঁকে ভরসা করবে। বাংলার মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে গেলে পড়ে থাকতে হবে বাংলায়, দিল্লিতে থেকে বড়ো বড়ো কথা বললে চলবে না। গুজরাটের এনকাউন্টারিস্ট পুরুলিয়ায় এসে বড়ো বড়ো কথা বলছেন। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তৃণমূলের আরেক হেভিওয়েট নেতা সুকুমার হাঁসদা বলেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বাংলা পেয়েছে শান্তি ও উন্নয়ন। বিজেপি ও সিপিএম আদিবাসীদের ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মা-মাটি-মানুষের সরকার তা কখনোই হতে দেবে না। রাজ্যের গুরুত্ত্বপূর্ন মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, বিধানচন্দ্র রায়ের পরে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে পারেন এমন নেত্রী হলেন মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি শুধুই কুৎসা ছড়ায়- যারা নিন্দা করতে পারে, কুৎসা করতে পারে, তারাই শুধু বিজেপিতে যোগদান করেন। হিন্দু-মুসলমান সকলেই ভাই-ভাই। তাই মমতার সরকার সবসময় ধর্মের উর্দ্ধে উঠে কাজ করে। অবশেষে বক্তব্য রাখতে এসে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী প্রথমেই গত শনিবার হয়ে যাওয়া হুল দিবস উপলক্ষ্যে জোহার ও আগাম রথযাত্রার শুভেচ্ছা জানিয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমন করেন বিজেপিকে। তিনি গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বকে ‘ভারতীয় জনতা গুন্ডা বাহিনী’ বলে আখ্যা দেন। তিনি জানান, বিজেপির নেতারা আষাঢ়ের গল্প দেন। মমতা সরকার আসার পরে মানুষের সুবিধা বেড়েছে প্রচুর, চালু হয়েছে ২ টাকা কেজি চাল, শুরু হয়েছে কন্যাশ্রী, সবুজসাথী প্রকল্প। এছাড়াও অলচিকি লিপিতে প্রাথমিক থেকে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু অন্যদিকে বিজেপির কালো টাকা সাদা হয়ে আর ফেরৎ আসেনি – বরং মানুষের টাকা নিয়ে পালিয়েছে নীরব ও ললিত মোদি । আপনার মতামত জানান -