এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের দুর্নীতি ফাঁস করতে ময়দানে হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ, প্রবল অস্বস্তিতে শাসকদল!

তৃণমূলের দুর্নীতি ফাঁস করতে ময়দানে হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ, প্রবল অস্বস্তিতে শাসকদল!

গত লোকসভায় উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফল করেছিল। কিন্তু তারপর সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় বিজেপি ত্যাগ এবং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার রেওয়াজ তৈরি হয়। যার ফলে পৌরসভা নির্বাচনের মুখে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার পৌর নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট পৌরসভায় তৃণমূলের দুর্নীতি ফাঁস করে দিয়ে শোরগোল তুলে দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বস্তুত, বালুরঘাট পৌরসভার 14 এবং 15 নম্বর ওয়ার্ডে এখানকার ভাইস চেয়ারম্যান বেবি বর্মন সহ একাধিক তৃণমূলের নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে আবাস যোজনার ঘর নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

আর তারপরেই এই ঘটনায় তদন্তের দাবিতে মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি দেয় ভারতীয় জনতা পার্টির বালুরঘাট টাউনের নেতৃত্ব। অভিযোগ ওঠে, গরিব মানুষদের ঘর বিলি না করে তৃণমূল নেতা নেত্রীরা ঘর তৈরি করে সেই ঘরে কুকুর পুষছেন। আর বিজেপির তরফ থেকে পৌরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলার পরই রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। এবার এই ব্যাপারে ময়দানে নেমে তৃণমূলের দুর্নীতি ফাঁস করে তদন্তের দাবি তুললেন বালুরঘাটে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বালুরঘাটের একাধিক ওয়ার্ডে ঘোরেন সুকান্তবাবু। যেখানে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, বালুরঘাট টাউন বিজেপির সভাপতি সুমন বর্মন সহ অন্যান্যরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গরিবদের জন্য যে ঘর দিয়েছে, সেই ঘর নিয়ে তৃণমূল চরম দুর্নীতি করেছে। বালুরঘাটের এমন মানুষ রয়েছেন, তাদের বাড়িঘরের দুর্দশা দেখলে খুব দুঃখ লাগে। শুনলাম তাদের কাছে তৃণমূল নেতারা 30-40 হাজার টাকা করে চেয়েছেন। তারা টাকা দিতে না পারায় ঘর পাননি। অথচ সেসব মানুষ ঘর না পেলেও তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অনেকেই দুতলা বাড়ি থাকা সত্বেও আবার ঘর পেয়েছেন। পৌরসভাও কিছুতেই ঘরের তালিকা প্রকাশ্যে আনছে না। আমরা আমাদের বিশেষ সূত্রে তালিকা পেয়েছি। সেখানেই তৃণমূলের ব্যাপক দুর্নীতি ধরা পড়ে গিয়েছে। আমরা চাই পৌরসভা প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রাপকদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করুক। না হলে আমরা এসডিওর ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে নামব।”

এদিকে পৌরসভা নির্বাচনের আগে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বিদায়ী তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপি সাংসদ সরব হওয়ায় তৃণমূল যে ব্যাপক চাপে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। যদিও বা বিজেপি সাংসদের তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন বালুরঘাট টাউন তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ চাকি। এদিন তিনি বলেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সকলেই ঘর পাবেন। সংসদ সদস্য 14 এবং 15 নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, ঘর পাননি কেন! যাদের জমির কাগজপত্র ঠিক নেই, তারা ঘর পাবেন কিভাবে! সুকান্ত মজুমদারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তার দলের সবাই একে একে আমাদের দলে যোগ দিচ্ছে। সামনের পৌরসভা ভোট নিয়ে সুকান্তবাবু ভয়ে রয়েছেন। তাই তিনি পাগলের প্রলাপ বকছেন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুভাষবাবু যে কথাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যেদিকে এবং বিজেপি সাংসদ যেভাবে ময়দানে নেমে তৃণমূলের দুর্নীতি ফাঁস করছেন, তাতে বালুরঘাট পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে এর মাশুল দিতে হবে বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!