এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার চাই, আজও লাঠি হাতে পথে সন্দেশখালি! মহিলা জাগরণে খুশি বিরোধীরা!

তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার চাই, আজও লাঠি হাতে পথে সন্দেশখালি! মহিলা জাগরণে খুশি বিরোধীরা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালীর অঘোষিত সম্রাট হিসেবে পরিচিত ছিলেন তৃণমূলের শেখ শাহজাহান। তার দাপটে নাকি কেউ কথা বলতে পারত না। তার ভয়ে নাকি সকলে গুটিয়ে থাকত। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলা হওয়ার পর থেকেই সেই শেখ শাহজাহানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিরোধীদের অভিযোগ যে, তাকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে পুলিশ। কারণ এই শেখ শাহজাহান তৃণমূলের সম্পদ। কিন্তু এতদিন এখানে তৃণমূলের ভয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে না পারলেও, এবার কিন্তু খেলা ঘুরতে শুরু করেছে।

বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এর উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে সন্দেশখালি। কিন্তু এবার আর তৃণমূল নেতাদের জন্য নয়। বরঞ্চ সাধারণ মানুষ যে প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নিয়েছে, বিশেষ করে নারী শক্তি যেভাবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে, তা সত্যিই স্যালুট জানানোর মত। এলাকাকে শান্ত করতে মহিলাদের এইভাবে এগিয়ে আসাকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তারা সকলেই বলছেন যে, শুধু সন্দেশখালি নয়, এভাবেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যদি কেউ প্রতিরোধ করতে পারে, তাহলে সেটা হলো নারী শক্তি। তাই সন্দেশখালিতে যা হচ্ছে, আগামী দিনে গোটা পশ্চিমবঙ্গেও সেই রোল মডেল করেই এই তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, আজ সকাল থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। যেখানে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। মহিলারা একেবারে লাঠি নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ এখন আর সেই ভাবে মানুষকে ভয় দেখাতে পারছে না। কারণ প্রশাসন থেকে শুরু করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী সকলেই বুঝে গিয়েছে যে, সাধারণ মানুষ এতদিন চুপ করে থাকলেও এবার তারা জেগে উঠতে শুরু করেছে। তাই তাদের প্রতিরোধ যেভাবে শুরু হয়েছে, তাতে এবার যদি প্রশাসন বা তৃণমূলের গুন্ডারা তেমন কিছু করতে আসে, তাহলে ইটের বদলে তাদের পাটকেল খেতে হবে। তাই মহিলারা যেভাবে রাস্তায় নেমেছে, যেভাবে সন্দেশখালিকে দুষ্কৃতী মুক্ত করতে শপথ নিয়েছেন সেখানকার নারী শক্তি, তাতে ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছে ফ্যাসিস্ট তৃণমূল এবং তাদের দলদাস প্রশাসন বলেই দাবি একাংশের।

এদিকে সন্দেশখালীর এই চিত্র সামনে আসতেই গোটা ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল যে বাঁকাতে হয়, সন্দেশখালি তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। এতদিন এই এলাকার মানুষরা তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের প্রচুর অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করেছে। কিন্তু সব সময় দুষ্কৃতীরা শেষ কথা বলে না। মহিলা সহ গ্রামবাসীরা যেভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেভাবে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের সোচ্চার হচ্ছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, তৃণমূলের পক্ষে আর কেউ নেই। এভাবেই গোটা রাজ্যে জলজাগরণের মধ্যে দিয়ে বিদায় নেবে এই ফ্যাসিস্ট শাসকবর্গ বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল ভেবে নিয়েছিল যে, সবকিছু তাদের দখলে আছে। তারা যা বলবে, মানুষ তাই শুনবে। কিন্তু মানুষের মধ্যে আর তৃণমূল বা পুলিশ প্রশাসনকে দেখে বিন্দুমাত্র ভয় কাজ করছে না। এই রাজ্যের মানুষ স্থির করে নিয়েছে যে, যা হবে দেখা যাবে। কিন্তু এই সরকারের বিরুদ্ধে এবার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে। সব অন্যায় সহ্য করলে এই সরকার আরও পেয়ে বসবে, তারা মানুষকে আরও যন্ত্রণা দেবে। তাই সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধ প্রবল চিন্তায় রাখছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। এখনও শুধরে যাওয়ার সময় আছে, যদি তিনি সেই পথে না যান, তাহলে গোটা রাজ্যেই এরকম সন্দেশখালির চিত্র তার দলকে দেখতে হবে। আর তাতেই ধ্বংসের মুখে পড়বে তার তোলামূল নামক কোম্পানি। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!