এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন্দ্রের কথাতেই চলছে এজেন্সি! তৃণমূলের মুখে ঝামা ঘসলেন শুভেন্দু!

কেন্দ্রের কথাতেই চলছে এজেন্সি! তৃণমূলের মুখে ঝামা ঘসলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পারেন বটে শুভেন্দু অধিকারী। কি দরকার ছিল এত লড়াই করার! কি দরকার ছিল এই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমস্ত চুরি সামনে আনার! আজকে তিনি সেটা করছেন বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকমত রাজনৈতিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন না। সব সময় এই তৃণমূল কংগ্রেসের একটাই অভিযোগ যে, শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির কথাতেই চলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই কারণে শুভেন্দুবাবু দিল্লি যাওয়ার পর যখন বললেন যে, বাংলায় ধামাকা হবে, ঠিক তার পর দিনই একের পর এক জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযান শুরু হয়ে গেল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তৃণমূলের এই বক্তব্য মানুষ আদৌ কি বিশ্বাস করে? কারণ যে দলটা আপাদমস্তক চুরির সঙ্গে যুক্ত, যে দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীরা জেলের মধ্যে রয়েছে, সেই দলের ভয় থাকবে তদন্ত হলে, এটাই তো স্বাভাবিক। ফলে তৃণমূলের এই বক্তব্য নিয়ে সাধারণ মানুষ বিচলিত নয়।

কিন্তু এজেন্সি কেন্দ্রের কথা মত কাজ করছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে মিথ্যা কথা বলা হয়, সেই নিয়ে এই রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের মুখে কার্যত ঝামা ঘষে দিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর তার বক্তব্যের পর আরও বেকায়দায় পড়ে গেল এই রাজ্যের শাসক দল। একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর এদিনের বক্তব্যে যেমন প্রমাণ হয়ে গেল যে, তার কথামতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি কাজ করে না। পাশাপাশি এটাও স্পষ্ট হয়ে গেল যে, তিনি তৃণমূলের যে চুরির খবর জানেন, তিনি তৃণমূলকে নিয়ে যে দুর্নীতির খবর জানেন, সেই সমস্ত কিছু তিনি অভিযোগ আকারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে পৌঁছে দিতেই পারেন। তাই রাজ্যের একজন সাধারন মানুষ হিসেবে তিনি সেই কাজ করেছেন। এটাই কিন্তু রাজ্যের শাসক দলের যারা চুরির সঙ্গে যুক্ত, তাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি থেকে ফিরে আসার পরেই বাংলায় বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় সংস্থার রেড শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তার কথামত যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কাজ করে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিজস্ব পোর্টাল আছে। সেখানে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত যদি দুর্নীতি হয়, তাহলে অভিযোগ জানাতে পারেন। আমি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে বেশ কিছু তথ্য তুলে দিয়েছি। কিন্তু তারা কখন কোথায় যাবে, সেটা তো আমার কথা মত যাবে না। তারা তাদের নিজস্ব গতি অনুযায়ী কাজ করবে। তাই এটার সঙ্গে আমার কোনো জোর নেই। অনেকে বলছেন, যদি কেন্দ্রীয় এজেন্সি শুভেন্দুবাবুর কথামতোই কাজ করত, তাহলে এতদিন ভাইপো বাইরে থাকতেন না, ভেতরে চলে যেতেন। কিন্তু এজেন্সির গতি নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন।

অনেকেই বলছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী লড়াই করছেন ঠিকই। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সি ঠিকমত কাজ করছে না। বিজেপির ভেতর থেকেও অনেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তাই এত সব সমীকরণ বুঝেও যে না বোঝার একটা নাটক তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট। তারা শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য এবং শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলতেই সব থেকে বেশি তৎপর। কারণ তারা নিজেরাও জানে যে, শুভেন্দু অধিকারী যে সমস্ত তথ্য কেন্দ্রে এজেন্সিকে পৌঁছে দিয়েছেন তৃণমূলের চুরি নিয়ে, সেই সমস্ত তথ্য ঠিক। তাই সেই সংক্রান্ত তদন্ত করলে তৃণমূলের ভেতরের খবর বাইরে চলে আসবে এবং অনেক মাথা জেলের ভেতরে থাকবে। তাই এটা শাসকদলের নেতাদের কাছে গাত্রদাহের কারণ হয়েছে জন্যেই তারা শুভেন্দু অধিকারীর কথা মত এজেন্সি চলছে বলে একটা মিথ্যা কুৎসা করার চেষ্টা করছেন বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সি কারওর কথামতো চলে না। তারা চলে নিজস্ব গতিতে। তৃণমূলের ভয়াবহ চুরি ধরা পড়ে গিয়েছে। তাই এখন সেই দলের নেতারা নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য প্রতিহিংসার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এসব বস্তাপচা ডায়লগ সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে না। সকলেই চাইছেন যে, চোরেরা জেলে যাক। তাই সেই দিকে যখন তদন্ত যাচ্ছে, তখন শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করে তৃণমূল মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছু হবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রতিহিংসার অভিযোগ করে করে তৃণমূল নিজেরাও হাপিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনোমতেই নিজেদের চুরি ঢাকতে পারছে না। মানুষ যে আজকে তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, এটা বুঝেও সেই দলের নেতা নেত্রীরা মিথ্যে কথা বলতে তৎপর। চোরেরা জেলে যাবেই। আর সেই চোরেদের জেলে পাঠাতে দুর্নীতি সংক্রান্ত যে তথ্য শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, সঠিক নাগরিক হিসেবে তাকে সমর্থন করছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। আর যখন সব দিক থেকেই তৃণমূল প্রত্যাখ্যাত, তখন তারা দিশেহারা হয়েই শুভেন্দুবাবুকে আক্রমণ করছেন। তবে এসব এরা যত করবে, ততই বামেদের মতই রাজ্য রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!