এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দেব অস্বস্তির মাঝেই তৃণমূল ছাড়ছেন আরও এক সাংসদ? মমতাকে চরম ধাক্কা বিজেপির!

দেব অস্বস্তির মাঝেই তৃণমূল ছাড়ছেন আরও এক সাংসদ? মমতাকে চরম ধাক্কা বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লোকসভা নির্বাচনের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততই ফাটল ধরছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে। দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তো রয়েছেই। দেবকে নিয়ে সমস্যা তো রয়েছেই। আর তার মাঝেই আজ আবার এক তৃণমূল সাংসদ বেসুরো মন্তব্য করে ফেললেন। আজ না হোক কাল, তিনি যে একটা বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন, সেই সম্ভাবনা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু এবার প্রকাশ্যেই তৃণমূল সাংসদের একটি মন্তব্য রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়ে দিল তৃণমূলের মধ্যে। তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন এই হেভিওয়েট? একেবারে সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে এক সাংবাদিকের উত্তর দিতে গিয়ে “আর তৃণমূল করব না” বলে মন্তব্য করলেন এই সাংসদ। কিন্তু কে তিনি! কেন তিনি এই কথা বললেন? “তৃণমূল করব না” বলে তাহলে কি অন্য কোনো শিবিরে যুক্ত হতে চলেছেন এই হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব! তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও জল্পনা তুঙ্গে।

সূত্রের খবর, আজ তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, যিনি শুভেন্দু অধিকারীর ভাই, সেই তিনিই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “আর তৃণমূল করব না। আমি মানসিক যন্ত্রণায় রয়েছি।” কিন্তু কবে তিনি তৃণমূল ছাড়বেন! পাকাপাকিভাবে তৃণমূল ছাড়লে কি তিনি এবার যোগ দেবেন শুভেন্দু অধিকারীর পথেই! যোগ দেবেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে? এদিন সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অবশ্য জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন দিব্যেন্দুবাবু। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, সেটা পরিস্থিতি ঠিক করবে। এখন অনেকে বলতেই পারেন যে, দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলে শুধু ছিলেন। কিন্তু তার মনটা তো শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে সেখানেই পড়েছিল। এমনকি অধিকারী পরিবারের শিশির অধিকারী থেকে শুরু করে সকলেই এখন বকলমে বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। শুধু সাংসদ পদ যাতে টিকে থাকে, তার সুবিধা নিতেই তারা দলবদল করছেন না। এমন কথা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হতেই পারে। কিন্তু লোকসভা ভোটের মুখে এসে দিব্যেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য তৃণমূল স্বীকার করুক বা না করুক, তাদের কাছে কিন্তু একটা বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, লোকসভা ভোট যতই এগিয়ে আসবে, ততই ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। দেবের মত ভাল ছেলেও যে তৃণমূলে থাকতে পারছে না, তা যত দিন যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই দলে কেউ মেরুদন্ড নিয়ে থাকতে পারবে না। যারা চোর, চিটিংবাজ, তারাই তৃণমূলের সঙ্গে সংসার করছেন। আগামী দিন যারা ভালোভাবে রাজনীতি করতে চান, তারা সকলেই পদ্মের সঙ্গে যুক্ত হবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, দিব্যেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন ধরেই বেসুরো। কারণ শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবারকে শত্রুর চোখেই দেখতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

সেদিক থেকে দিব্যেন্দুবাবুর এই কথাটা হয়ত স্বাভাবিক মনে হতে পারে। কিন্তু তার দল বদলের সাথে সাথে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরাও কিন্তু লোকসভা ভোটের মুখে যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। আর এটাই তৃণমূলের কাছে চিন্তার কারণ। পাশাপাশি দিব্যেন্দুবাবুর সতীর্থ হিসেবে আরো কোনো সাংসদ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যুক্ত হন কিনা, সেটা নিয়েও জল্পনা বাড়ছে। কারণ দেব যেভাবে সরকারি কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর একটি পোস্ট করেছেন, তাতে মনে করা হচ্ছে, তৃণমূলের ফাটল ধরানো নেতাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে। তাই লোকসভা ভোটের আগে দলে ভাঙ্গন নিয়ে প্রবল চিন্তা তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!