এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার করোনা চিকিৎসায় রোগীদের জন্য আরও ‘মানবিক’ সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের, জানুন বিস্তারিত

এবার করোনা চিকিৎসায় রোগীদের জন্য আরও ‘মানবিক’ সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের, জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে মানুষ কার্যত গৃহবন্দী হয়ে গেছে।চিকিৎসক মহল বারবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে মানুষ কার্যত মানসিক ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে।যা নিয়ে চিকিৎসক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া করোনা রোগী সাথে পরিবারের যোগাযোগ না থাকার কারনে করোনা রোগী ও তার পরিবারের মধ্যে একটা মানসিক উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে যা উভয়ের কাছে অন্তত ক্ষতিকর বলে চিকিৎসক মহল দাবি করছেন।ত

বে রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশিকায় আপাতত করোনা রোগী ও তার পরিবারের কাছে স্বস্তির খবর বলে মনে করেন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন।রাজ্য সরকারের কি সেই নির্দেশিকা? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে কিছুদিন আগে করোনা রোগী ও তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ পড়তে থাকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর একটি টিম তৈরি করে বিভিন্ন কোভিড হাসপাতাল গুলোতে তদন্ত করে। পরবর্তী কালে এই টিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে। নির্দেশিকায় বলা হয় যে,এবার থেকে করোনা রোগী সাথে দিনে অন্তত একবার করে ভিডিও কলিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্দেশিকার মূল উদ্দেশ্য হলো করোনা রোগী ও তার পরিবারের মানসিক উদ্বেগ কমানো। এই নির্দেশিকা আরো বলা হয় যে,করোনা রোগীর স্বাস্থ্য অবস্থা রোগীর পরিবারকে প্রত্যহ জানতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কিছু কোভিড হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোভিড রোগী ও সাধারণ রোগীর মধ্যে সামাজিক স্বাস্থ্য বিধি না মানার জন্য সাধারণ রোগীরা অন্য অসুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে পরবর্তী কালে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাষার বলা হয় যে, করোনা রোগী ও সাধারণ রোগীর মধ্যে কঠোর ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানার কথা বলা হয়েছে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভিন্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধে এও অভিযোগ আস ছিলো করোনা রোগীকে ঠিক মতো স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। অনেক সময় তাদেরকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রাখা হচ্ছে।

তবে এই দিনের রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে,করোনা রোগীর প্রতি স্বাস্থ্যকর্মীদের মানবিক হতে হবে।কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে করোনা রোগী সকালে ভালো থাকলেও রাতে মৃত্যু হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি করোনা হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বিশেষ টিম তৈরি করতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

এই চিকিৎসকদের টিমে থাকবে একজন করে ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞ, বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বিশেষজ্ঞ এবং একজন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট। হঠাৎ করে করোনা রোগীর সামান্য শ্বাসকষ্টে হলে রোগীকে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে দেওয়ার বিকল্প হিসেবে হাই ফ্লো ন্যাজাল অক্সিজেন চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে শেষ পর্যন্ত করোনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে কতটা কাজ করে তা দেখার বিষয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!