দিল্লি থেকে মথুরার মন্দিরে গিয়ে নামাজ পড়ে উত্তেজনা ছড়ালেন বিশেষ সংগঠনের ৪ ব্যক্তি! চড়ছে পারদ জাতীয় বিশেষ খবর November 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত সংবিধান মতে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও বর্তমানে ভারতে যেভাবে জাতিভেদের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তাতে ভবিষ্যতে তা সমাজের সামগ্রিক ক্ষতিসাধন করতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বহু সমাজবিদ। বস্তুত অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনুমতি পাওয়ার পরেই মথুরা এবং কাশিতে সেই একই বিষয় নিয়ে কথা উঠতে শুরু করেছিল। সেইসময় বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফ থেকে স্লোগান দেওয়া হয়েছিল অযোধ্যা তো ঝাঁকি হ্যায়, আভি কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়। আর এক্ষেত্রে স্লোগানের অর্থ যে মথুরা আর কাশীর বিতর্কিত জমিতে থাকা মসজিদগুলোর উপরে পড়েছিল সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয়নি কাউকেই। তবে সেই সমস্যা সমাধানের আগেই সম্প্রতি মথুরার নন্দ বাবা মন্দিরে নামাজ পড়ার ঘটনা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার পর এবার উত্তরপ্রদেশেরই মথুরার একটি মন্দিরে নামাজ পড়ার ঘটনায় সম্প্রতি দুই জন অভিযুক্ত সহ চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তথ্যসূত্র জানা যায়, গত ২৯শে অক্টোবর দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ মথুরার নন্দ বাবা মন্দিরে বিনা অনুমতিতে নামাজ পড়ার ছবি প্রকাশিত হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে মন্দিরের বিনা অনুমতিতে নামাজ পড়তে দেখা গিয়েছিল ফইজুল খান এবং চাঁদ মোহাম্মদ নামে দুজন ব্যক্তিকে। আর তাদের ছবি মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন অলক রতন ও নীলেশ গুপ্তা নামের দুজন ব্যক্তি। যার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। বলা হয়, এই আচরণে হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। এমন ধরনের ছবির অপব্যবহার করে মানুষের ধর্মের জায়গায় আঘাত দেওয়া উচিত নয় বলেই মনে করেছেন হিন্দুত্ববাদীরা। সেইসঙ্গে এই ঘটনার পেছনে বিদেশ থেকে অর্থ সাহায্য পাওয়ার কোন বিষয়ে আছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর ক্ষেত্রেই যে এর মূল লক্ষ্য ছিল, সে কথাও জানা যায়। বস্তুত এই ঘটনার পর রবিবার রাতেই মুকেশ গোস্বামী, শিবহরি গোস্বামী ও কানহা নামে তিন ব্যক্তি ওই চারজনের নামে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। আর ওই এফআইআরে উল্লেখ করা হয় যে চার জন অভিযুক্ত দিল্লির একটি সংগঠন ‘খুদাই খিদমতগার-এর সদস্য। গত ২৯শে অক্টোবর তাঁরা বিনা অনুমতিতে নন্দগাঁও এলাকার ওই মন্দিরে নমাজ পড়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে তিন ব্যক্তি এই বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতেই তদন্তও শুরু হয়েছে প্রশাসন। তবে সেইসঙ্গে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হওয়ায়, ওই মন্দির সংলগ্ন এলাকায় পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানা যায়। আপনার মতামত জানান -