এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশে কোন ধর্মের বিভেদ নেই, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

দেশে কোন ধর্মের বিভেদ নেই, জানালেন প্রধানমন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, এদেশে ধর্মের কোনো বিভেদ নেই। এদেশে ধর্মের নামে কাউকে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে না। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এই স্লোগান নিয়ে এগিয়ে চলছে দেশ।

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, ধর্ম সমাজের একটি অংশ হলেও সমাজের একমাত্র দিক তা নয়। তিনি জানালেন যে, কিছু অশুভ শক্তি দেশের উন্নতিতে বাধা দিচ্ছে। তবে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক মুসলিম সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে কাজ করেছে সবসময়ে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার তিন তালাক প্রথা বাতিল করে দিয়ে আধুনিক মুসলিম সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি মুসলিম মহিলাদের শিক্ষার দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছে। গত ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে চলতি ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি মুসলিম মহিলাকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন যে, সারাবিশ্ব এখন চেয়ে আছে ভারতের দিকে। এখন ভারত এমন রাস্তায় এগোচ্ছে, যেখানে দেশের সকল নাগরিক নিজেদের সাংবিধানিক অধিকারের ব্যাপারে নিশ্চিত ও নিশ্চিন্ত। প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস সমস্ত ধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। করোনা মহামারীতে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া খাদ্যশস্য পেয়েছেন সমস্ত ধর্মের মানুষ। এদেশে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে বিভেদ কখনোই হয় না।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানালেন যে, দেশের সমস্ত নাগরিকদের ধর্মের বিভেদ ভুলে গিয়ে দেশের উন্নতিতে যোগদান করতে হবে। দেশের সৌন্দর্য ও ব্যাপ্তি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তুলে ধরতে হবে সকল ছাত্র ছাত্রীদের। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে, সেইসঙ্গে বাড়াতে হবে নিজেদের সম্মান।

প্রসঙ্গত গত ১৯৬৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী শেষবারের মতো আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। এরপর দেশের আর কোন প্রধানমন্ত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান করেননি। এর ৫৬ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!