এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গে রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়ছে, তৃণমূলকে জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি!

উত্তরবঙ্গে রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়ছে, তৃণমূলকে জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টদুই হাজার কুড়ি প্রায় শেষের মুখে। আর এই বছরটা শেষ হলেই 2021 এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিজেপির প থেকে সেই বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য পেতে নানা ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হচ্ছে। কেননা এবার বিজেপির টার্গেট বাংলায় ক্ষমতা দখল করা। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসন দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচন যা বিজেপির কাছে অন্যতম প্রধান লক্ষ্য, সেখানে যদি উত্তরবঙ্গ থেকে বিপুল আসন বিজেপি নিজেদের দখলে রাখতে পারে, তাহলে তাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাই এখন থেকেই উত্তরবঙ্গের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তৎপর হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল কংগ্রেস ময়দানে নেমে পড়েছে। যেখানে বিজেপির নানা নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে তাদের। তবে তৃণমূল রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করে দিলেও, বিজেপি যে চুপ করে বসে থাকবে না, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

জানা গেছে, গত 4 অক্টোবর থেকে জলপাইগুড়িতে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ি এবং মালবাজারে তাদের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বভাবতই পুজোর আগে একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন উপর জোর দিচ্ছে, ঠিক তখনই বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে কর্মী সম্মেলন করে সেই তৃণমূলকে চাঙ্গা হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে দুই রাজনৈতিক দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ কাকে কতটা এগিয়ে রাখে, তা অবশ্যই নজরকাড়া বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের কাছে। একাংশ বলছেন, এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে দুই দলের লড়াইয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হতে পারে। বিজেপি যেমন চেষ্টা করছে, লোকসভার মত ভালো ফল করার, ঠিক তেমনই তৃনমূল বিজেপিকে কুপোকাত করার চেষ্টা করছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “আমরা জেলার ৩৩ টি মন্ডলের মন্ডল কর্মীদের নিয়ে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন শুরু করেছি। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের জনমুখী প্রকল্প এবং রাজ্যের তৃনমূলের জনবিরোধী নীতিগুলো আমরা কর্মীদের কাছে ধীরে ধীরে তুলে ধরছি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের হাতেই জনগণ দায়িত্ব তুলে দেবে। আমরা চাই , এই রাজ্যে সুশাসন হোক। একমাত্র বিজেপিই রাজ্যবাসীর চাহিদা পূরণ করতে পারবে।”

অন্যদিকে এদিন জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষান কল্যাণী বলেন, “ওরা ভাওতাবাজির রাজনীতি করে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট দেয়। কিছু মানুষ ভুল বুঝে ওদের ভোট দিয়েছিল। কিন্তু এসব করে কিছু লাভ হবে না। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। এবার আমরাই ক্ষমতায় আসবে। রাজ্যে ক্ষমতা দখল ওদের অলীক কল্পনা ছাড়া কিছু নয়।” সব মিলিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় শক্তি বৃদ্ধি করতে তৃনমূল-বিজেপি লড়াইয়ে কারা শেষ হাসি হাসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!