এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরোত্তর বেড়ে চলা তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে চরম অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে

উত্তরোত্তর বেড়ে চলা তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে চরম অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট আরো একবার প্রকাশ্যে এসে পড়ল গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী কালে গেরুয়া শিবিরের বিভিন্ন জেলায় গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমাগত বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। কার্যত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ব্যাপক গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। আর সে কথাই সত্যি হতে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, বিজেপির বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গরহাজির থাকছেন উত্তর দিনাজপুরের 2 বিধায়ক। কার্যত রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক জেলা বিজেপি নেতৃত্ব সম্পর্কে সমালোচনা করে ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সম্প্রতি ফেসবুকে।

বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ এবং কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতির মতপার্থক্য প্রবলভাবে চোখে পড়ে। আর এই মতপার্থক্য ক্রমশ গোষ্ঠীকোন্দলের দিকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ী 2 পঞ্চায়েতটি গত 30 শে জুলাই বিজেপির হাতছাড়া হয়। তৃণমূল এই পঞ্চায়েত দখল করে নেয়। আর তারপর থেকেই রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জেলার নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি অভিযোগ করেন, কমলাবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়ার পেছনে রয়েছেন জেলার সাংগঠনিক প্রধান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আরও বিস্ফোরকভাবে তিনি বলেন, নিজের বৃত্তের 2 – 4 জন লোককে নিয়ে পার্টিকে নিজের সম্পত্তি মনে করে আটকে রাখা হয়েছে। তাই পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারও প্রকাশ্যে দলীয় বিধায়কের এহেন অভিযোগের পর তীব্র নিন্দা করেছিলেন। অন্যদিকে সোমবার রায়গঞ্জের দলীয় কর্মসূচি থাকলেও তাতে হাজির হননি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। যদিও প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল সংক্রান্ত কোনো কথা বলতে রাজি নন উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ জেলার বিজেপি বিধায়ক এবং জেলা সভাপতি দুজনেই।

নিজেদের সমস্যা তাঁরা দলীয় স্তরে মিটিয়ে নেবার কথা বলেছেন। তবে তাতে সমস্যার সমাধান হবে কিনা তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ নিয়ে কার্যত তৃণমূল শিবির থেকে ব্যাপক কটাক্ষ করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের হারের পর যেভাবে অন্তর্দ্বন্দ্ব বেড়ে চলেছে, তা কিন্তু গেরুয়া শিবিরকে এই মুহূর্তে আরও দুর্বল করে দিচ্ছে। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও জমছে তীব্র অস্বস্তি।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!