এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > সিঙ্গুরে তৃণমূলের গড় থেকে কোন ‘ত্রিফলা’ তুলে নিলেন মুকুল রায়

সিঙ্গুরে তৃণমূলের গড় থেকে কোন ‘ত্রিফলা’ তুলে নিলেন মুকুল রায়


মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করতেই বঙ্গ বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে একটা বেশ উৎসাহের ভাব জেগেছিল। বকলমে যেন তাঁরা বলতে চাইছিলেন – এবার খেলা, জমবে বাংলা! কেননা মুকুল রায় তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে পরিচিত তাঁর তুমুল সাংগঠনিক ক্ষমতার জন্য। কিন্তু সবার মনের মধ্যে একটাই ভয় ছিল, যে দলটাই তিনি যোগ দিলেন তার নাম বিজেপি। এবং রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, সেভাবে কোনোদিনই বঙ্গভূমে পদ্মফুল ফোটেনি। যদিও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে একটা বিজেপির প্রতি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে, কিন্তু তা কতটা সফল হবে শাসকদলে ফাটল ধরাতে তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন।
কিন্তু আজ যেটা মুকুল রায় করলেন, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তাকে মাস্টারস্ট্রোক হিসাবেই গণ্য করছেন। রাজ্যে তৃণমূলের উত্থানে অন্যতম বড় অবদান অবশ্যই সিঙ্গুরের। সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রাম তৃণমূলের উত্থানের ইতিহাসে শাসকদলের গড় হিসাবেই গণ্য হয়। আর শাসকদলে ভাঙ্গন ধরানোর জন্য মুকুল রায় বেছে নিলেন সেই সিঙ্গুরকেই তাঁর ওপেনিং শট হিসাবে। আর তাঁর হাত ধরে যে ত্রিফলা গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করল তাঁরা কেউই হেলাফেলার নয়। বিজেপিতে আজ নাম লেখালেন, সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ তৃণমূল নেতা শেখর ঘোষ, অনিচ্ছুক চাষিদের অন্যতম মুখ সুদীপ ঘোষ এবং ইচ্ছুক চাষিদের অন্যতম মুখ দ্বারিকানাথ ঘোষ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এই তিনজনকেই মুকুল রায়ের ত্রিফলা বলে অভিহিত করছেন, কেননা সিঙ্গুর আন্দোলনের তিনটি দিকের তিনটি প্রতিষ্ঠিত মুখকে মুকুল রায় বিজেপির পতাকা তলায় আনতে সফল। যার অন্তর্নিহিত বার্তা হতে পারে সিঙ্গুরের কোনো অংশই আজ খুশি নেই, তাঁরা বিকল্প খুঁজছেন। আর তৃণমূলের আবেগের গড় থেকে যদি এই বার্তা দেওয়া যায়, তাহলে যাঁরা সত্যিই বিকল্প খুঁজছেন রাজ্যজুড়ে, তাঁদের গেরুয়া ছাতার তলায় আনার কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে গেল। এখন দেখার এই ত্রিফলাকে সামনে রেখে মুকুল রায় বাকি বঙ্গভূমে কতটা ফাটল ধরাতে পারেন, নাকি সিঙ্গুরের ওপেনিং স্ট্রোকটা স্রেফ একটা ফ্লুক হয়ে থাকলো!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!