এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে এবার কি সরকারি কর্মীদের হারাতে হবে DA? মন্ত্রীসভার বৈঠকেই হতে পারে সিদ্ধান্ত

করোনা আবহে এবার কি সরকারি কর্মীদের হারাতে হবে DA? মন্ত্রীসভার বৈঠকেই হতে পারে সিদ্ধান্ত

করোনা মোকাবিলায় এবার আরও কঠোর হলো কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে মন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার দেশজুড়ে কয়েক লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত রদ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। সেই বৈঠকেই সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা এই মুহূর্তে না বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত মার্চে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা 17 শতাংশ থেকে 21 শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কিন্তু তার মধ্যেই দেশে এসে পড়ে মারণ ভাইরাস করোনা। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজকোষে হাত দিতে হয়। মনে করা হচ্ছে, এবার রাজকোষে টান পড়ার কারণেই মন্ত্রিসভা থেকে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে আপাতত স্থগিত করা হবে। তবে সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি থেকে চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর যে কথা ছিল তা পরবর্তীতে এরিয়া বাবদ দিয়ে দেওয়া হতে পারে, এরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ হতে পারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের মহার্ঘভাতা রদের সিদ্ধান্তের ফলে 54 লক্ষ সরকারি কর্মচারী এবং 65 লক্ষ পেনশনভোগীদের ওপর এর প্রভাব পড়বে। যদিও সরকারপক্ষ থেকে আগেই অবশ্য বলা হয়েছিল সরকারি কর্মীদের বেতন এবং অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন এর উপর কোনো প্রভাব পড়বেনা করোনার কারণে। যদিও সরকারের তরফ থেকে সমস্ত কর্মীদের আবেদন করা হয়েছে, তাঁদের একদিনের বেতন যেন প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দান করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাবিনেট সচিব ইতিমধ্যে সরকারি দপ্তরের সমস্ত সচিবদের চিঠি লিখেছেন বলে খবর।

যদিও জানা গেছে, কারো এই অর্থ দিতে আপত্তি থাকলে তিনি সরাসরি তা জানাতে পারেন। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস যেভাবে মহামারি আকার ধারণ করেছে, তাতে রাশ টানার জন্য এই মুহূর্তে সারা দেশে চলছে লকডাউন। ফলে মানুষ হয়েছে গৃহবন্দী এবং সমস্ত রুজি-রোজগার হয়েছে বন্ধ। ফলত, করোনা পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে মুখথুবড়ে পড়ার মুখে। কিন্তু তা সত্বেও করোনার মারাত্মক প্রভাবকে লক্ষ্য রেখে সাধারণ মানুষকে খাদ্য এবং ওষুধের প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা না রাখার জন্য বারংবার আবেদন করা হচ্ছে সরকার ও বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!