রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বৈরথ অব্যাহত,পাল্টা আক্রমণ শিক্ষামন্ত্রীর কলকাতা রাজ্য April 23, 2020 সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে যেদিন থেকে রাজ্যের দায়িত্ব নিয়েছেন জগদীপ ধনকার, সেদিন থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য হতে দেখা গেছে তার। আইন-শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জ্বলন্ত ইস্যু সম্পর্কে সরকারের বিরুদ্ধে মতামত জানিয়ে নানা সময় শোরগোল তুলে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে করোনার মত মহামারী সময়েও যে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বৈরথ অব্যাহত থাকবে, তা সত্যিই আঁচ করা সম্ভব হয়নি কারও পক্ষেই। কিন্তু রাজনীতিতে ইস্যুর অভাব নেই। তাইতো মহামারীর সময়েও সেই ইস্যু চলে আসায় তা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে লাগাতার সরব হতে শুরু করেছেন জগদীপ ধনকর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, রেশনের অনিয়ম নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে সরব হয়েছেন তিনি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান যোজনার চাল, ডাল বিলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে গোটা বিষয়টি দেখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। আর রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই গোটা বিষয়টি নিয়ে পাল্টা সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে মুখ খুলে রাজ্যপালকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “লকডাউনের মধ্যে যদি মুখটাও লকডাউন রাখতেন, তাহলে হয়ত বাংলার মানুষ ওনাকে ভালো চোখে দেখতেন। উনি কারও সঙ্গে কথা বলে নিলেই তো সব হয়ে যায় না।” আর শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, একইভাবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভিকেও। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যপালের কাজ শোনা, বলা নয়। চিঠি লিখে প্রকৃত পদ্ধতি মেনে তিনি নিজের বক্তব্য উপযুক্ত জায়গাতে জানাতেই পারেন। কিন্তু সাংবাদিক সম্মেলন করে বা সকালে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দেওয়া রাজ্যপালের শোভা পায় না। তার ভূমিকার মনে হচ্ছে যেন রাজার চেয়ে পরিষদের চিন্তা বেশি।” আর রাজ্যপালের রেশনের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে এই ধরনের মন্তব্যের পর যেভাবে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের দুই হেভিওয়েট নেতা রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেন, তাতে করোনা পরিস্থিতিতে বঙ্গ রাজনীতিতে চরম মাত্রায় পারদ চড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -