এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বয়ং যুবরাজের অন্তিম হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যুব-মাদারের তীব্র গোষ্ঠী সংঘর্ষ অব্যাহত, দিন দিন বাড়ছে আহতের সংখ্যা

স্বয়ং যুবরাজের অন্তিম হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যুব-মাদারের তীব্র গোষ্ঠী সংঘর্ষ অব্যাহত, দিন দিন বাড়ছে আহতের সংখ্যা


প্রথমে খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তারপরেই সদ্য কোচবিহারে গিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দল মেটানোর জন্য কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু কে কার কথা শোনে! শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ফের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হল কোচবিহার।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহারের দিনহাটা ভেটাগুড়িতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মূল সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। এমনকি মূল সংগঠনের অঞ্চল সভাপতি সহ চারজনের বাড়িতে হামলা চালানোরও অভিযোগ উঠেছে সেই যুব সংগঠনের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনার পর শুক্রবার ফের উত্তপ্ত হল দিনহাটা 2 ব্লকের বামনহাটের কালমাটি এলাকা। কিন্তু ফের কি কারনে এহেন সংঘর্ষ?

জানা গেছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী সরব হওয়ার জন্যই এখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আর শাসক বনাম শাসকের এই কোন্দলে শিকেয় উঠেছে সেখানকার অনেক মানুষের ব্যবসা। অনেকে বলছেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সন্ধ্যের পর আর মানুষ তেমন ভাবে হাট- বাজারের দিকে আসছেন না। আর যার জেরে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এখানকার ব্যবসার উপর নির্ভরশীল মানুষজনেরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই এই কোচবিহারের দিনহাটাকে শাসক বনাম শাসকের দ্বন্দ্বে বিভিন্ন সময় উত্তপ্ত হতে দেখা গেছে। মাঝে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নিশীথ প্রামাণিককে বহিষ্কার করে দল সকলকে সংযত হওয়ার বার্তা দিলেও কিছুটা পরিস্থিতি শান্ত হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করল এখানকার পরিস্থিতি। যা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী মানুষজনের পাশাপাশি চিন্তায় রয়েছেন শাসক দলের নেতারাও।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দিনহাটা মহকুমার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “একের পর এক গন্ডগোল মাথাচাড়া দিচ্ছে, আমরা এতে প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন। বাজার সংলগ্ন এলাকাগুলিতেই এই গন্ডগোল পাকানো হচ্ছে।” অন্যদিকে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে ধরনের সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল তা ফের ফিরে আসছে বলে এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করেন দিনহাটা ভেটাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শিবু ব্রহ্ম।

এদিকে এই প্রসঙ্গে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ এদিন বলেন, “আমি বারবার বলেছি এই সব গন্ডগোল, অশান্তি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।” সব মিলিয়ে একই সামনে লোকসভা নির্বাচন আর তার উপরে দলীয় নেতৃত্বের কড়া নির্দেশ উপেক্ষা করে শাসক বনাম শাসকের দ্বন্দ্বে কোচবিহার জেলায় যেভাবে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ বাড়তে শুরু করেছে, তাতে জেলা তৃণমূলের নেতারা যে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে শুরু করেছেন তা বলাই যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!