এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দলনেত্রী ‘উদারতা’ ভুলে ‘অনুমতি’ দিলেই বিজেপিকে ‘ঝেঁটিয়ে বিদায়’ করবেন ‘যুবরাজ’

দলনেত্রী ‘উদারতা’ ভুলে ‘অনুমতি’ দিলেই বিজেপিকে ‘ঝেঁটিয়ে বিদায়’ করবেন ‘যুবরাজ’

অসমে তিনসুকিয়া গনহত্যার প্রতিবাদে তৃণমূলের ধিক্কার মিছিলের প্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূল যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গর্জে উঠে বললেন,”দলনেত্রীর উদারতার জন্য ওরা পার পেয়ে যাচ্ছে। আমি অত উদার নই। যেদিন নেত্রীর অনুমতি পাব সেদিন বিজেপির ‘বি’ থাকবে না, দিলীপের ‘ডি’ থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিলে ওদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে একদিনও সময় লাগবে না।”

এদিন পুরুলিয়ায় এভাবেই বিজেপিকে তোপ দাগেন অভিষেক। উল্লেখ্য, জেলায় মিছিল করার পাশাপাশি পুরুলিয়া শহর, বলরামপুর ও রঘুনাথপুরে কালীপুজো মণ্ডপের উদ্বোধনও করেন তিনি। দলীয় কর্মসূচির পর সোজা চলে যান বলরামপুর তেঁতল এলাকায়,সেখানে একটি কালিপুজে উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে চলে যান নডিহা বারোয়ারিতে,বাহুবলী থিমে তৈরি মন্ডপের উদ্বোধন করতে।

সবশেষ যান রঘুনাথপুরের ঝাড়ুখামার এলাকায় কুমুরুগোড়া সর্বজনীন কালীপুজো কমিটির পার্লামেন্টের আদলে তৈরি মণ্ডপের উদ্বোধন করতে। মন্ডপ উদ্বোধনের পাশাপাশি বলরামপুরের কালীতলা এবং বেড়াদা শিবমন্দিরে পুজোও দেন অভিষেক।

দলীয় সূত্রের খবর,তিনি পুরুলিয়া পৌছানোর পরের দিনই গতকাল বেলা ১১ টা নাগাদ ভিক্টোরিয়া স্কুল মোড় থেকে অসমে বাঙালি নিধনের প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। কালো পতাকা নিয়ে সেই ধিক্কার মিছিলে অংশগ্রহণ করেন জেলার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতারাও। শহরেী রথতলা পর্যন্ত দু’কিলোমিটার মিছিলের প্রায় গোটা রাস্তাই নিজেই বিজেপি বিরোধী শ্লোগানে মুখর করে তোলেন অভিষেক। সেই মিছিল দেখতে দু পাশে সারি দিয়ে দাঁড়ায় স্থানীয়রা।

বাড়ির ছাদেও লোক জমায়েত হয়েছিল মিছিল দেখার জন্য। তাঁদের উপচে পড়া ভীড় ছিল দেখার মতো! মিছিল কর্মসূচি শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে তুলোধানা করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি। বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কয়েকটা আসনে জিতেই বিজেপি ভেবেছে রাজ্যের ক্ষমতা তাঁরা পেয়ে গিয়েছে। অশান্তি চরমে তুলেছে। যেখানেই বিজেপি জিতেছে সেখানেই মারামারি,হানাহানি করে পরিস্থিতি উত্যক্ত করে তুলেছে।

বিজেপি যে ভাষা বোঝে,সে ভাষাতেই তাঁদের যোগ্য জবাব দেবে তৃণমূল। তিনসুকিয়ার গনহত্যার প্রতিবাদের জন্য একদিনের নোটিশেই বিজেপি বিরোধীতায় এতো লোক জড়ো হওয়া দেখে আপ্লুত তৃণমূল সাংসদ। বললেন,যতদিন না অসমের ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে এবং দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে ততোদিন তৃণমূলের নেতৃত্ব বাংলার মানুষ প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে। এর পাশাপাশি দেশের বিজেপি প্রধানমন্ত্রীকেও এক হাত দিলেন তিনি। বললেন,”কেউ ছোট ছোট চায়না টুনি বাল্ব বিক্রি করলে সমস্যা। অথচ মোদি সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি তৈরি করেছেন ৩হাজার কোটি টাকা খরচ করে। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল জীবিত থাকলে উনিও লজ্জা পেতেন।”

এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে সমালোচনা করে জানান,মোদী আত্মপ্রচারে যে বিপুল অর্থব্যয় করেন তার সিকি কনাও ব্যয় করা হয় না কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিলেন বিশেষ বার্তা। বললেন,এদিনের কর্মসূচিই শেষ নয়,আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে তিনি আবার পুরুলিয়া আসবেন সভা করতে। ২৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর বলরামপুরে সভা করার কথা।

দীপাবলি মিটলেই সর্বস্তরের নেতাদেরই বুথে বুথে গিয়ে কর্মসূচি করার বার্তা দিলেন তিনি। হুঁসিয়ারী দিলেন,পুরুলিয়ায় তৃণমূলের হয়ে লোকসভা ভোটে যেই প্রার্থী হোন না কেন,বিজেপির তরফ থেকে নরেন্দ্র মোদী প্রার্থী হলেও বিজেপি জিততে পারবে না।

উল্লেখ্য,এদিনের সভায় আবার সাঁতুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য অসীম চট্টোপাধ্যায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের টিকিট কাটলেন। ফলশ্রুতিতে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল শাসকদল। শুধু তাই নয়, আড়ষা থেকেও মানকিয়ারি অঞ্চলের একজন নির্দল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এদিনের সভায় তৃণমূলে যোগ দেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তৃণমূলের নতুন সদস্যরা। পুরুলিয়ায় তৃণমূলের পোক্ত সংগঠনের সামনে টিকতে পারবে না বিজেপি,সেটা বুঝেই এদিন পদ্মশিবিরকে চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূলের যুব নেতা। এখন বিজেপি এর পাল্টা কীভাবে দেয় সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!