এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সুখবর শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা! পরের ত্রৈমাসিকেই নাকি ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি!

সুখবর শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা! পরের ত্রৈমাসিকেই নাকি ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি!

যদিও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, তবুও রোদ ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। গত শুক্রবার দিন প্রকাশিত হয়েছে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক জিডিপি রিপোর্ট। যাতে দেখা গেছে, বিগত ছয় বছরের সবচেয়ে কম জিডিপি বৃদ্ধির হার দেখতে হয়েছে ভারতের অর্থনীতিকে। যার কারণে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে রীতিমত আশংকার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতের অর্থনীতির গ্রাফ নিম্নমুখী হয়ে 4.5 শতাংশে পৌঁছেছে‌।

প্রথম ত্রৈমাসিক রিপোর্টে বৃদ্ধির হার ছিল 5 শতাংশ। গত বছর ছিল 7 শতাংশ। তবে শুধু অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার নিম্নগামী নয়, দেশের রাজস্ব ঘাটতিও 7.2 লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে গেছে। যা অত্যন্ত চিন্তার কারন বলে মনে করেছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে এর মধ্যেও কিছুটা স্বস্তির খবর শোনাচ্ছেন আসেচ্যামের সাধারণ সম্পাদক দীপক সুদ।

তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, অর্থনীতির নিম্নগামী গ্রাফ এখানেই থেমে যাবে। আমরা রিপোর্টে দেখলাম এখনও বাজারে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি না হওয়ার কারণে শিল্পগুলো ঝিমিয়ে রয়েছে। তবে সরকারের পদক্ষেপের ফলে খুব শীঘ্রই বাজার আবার চাঙ্গা হবে।” শুধু আসেচ্যামের সাধারণ সম্পাদক নয়, অর্থনীতির হাল ফেরার বিষয়ে অনেকটাই সদর্থক বাক্য শুনিয়েছেন বায়োকনের সিএমডি কিরণ মজুমদার-শ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “এখান থেকে মাত্র কয়েকটি ইতিবাচক পদক্ষেপ ভারতকে আবারও শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ও বিনিয়োগ আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে। দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য সরকার ইতিমধ্যেই অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আশা করছি, সেই পদক্ষেপগুলোর ফল চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ার্ধে পাওয়া যাবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশে নতুন বিনিয়োগ কমে আসতে শুরু করেছে। এছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি খুব খারাপ পারফরম্যান্স দিচ্ছে। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে এবং সবথেকে বড় বিষয়, বিশ্বজুড়ে চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। ইতিমধ্যেই বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএমএফ সকলেই বৃদ্ধির দিক থেকে ভারতের অনুমানকে কমিয়ে 6 শতাংশে নামিয়েছে।

তবে উপরিউক্ত আসেচ্যামের সাধারণ সম্পাদক এবং বায়োকনের সিএমডি যে আশার আলোর কথা বলছেন, তা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কথাকেই সত্যি করে আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াবে ভারতের অর্থনীতি। আর সেদিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!