এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দলীয় নেতার কাছেই মোটা টাকা তোলাবাজি করতে গিয়ে এবার পুলিশের জালে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা!

দলীয় নেতার কাছেই মোটা টাকা তোলাবাজি করতে গিয়ে এবার পুলিশের জালে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন পর্যন্ত বিরোধী দল বিজেপি ক্রমাগত দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এসেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার দৃশ্যপট বদলে গেছে। সম্প্রতি বালি এলাকার বিজেপি শিবিরের যুব মোর্চার এক নেতা দলের মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তোলা চাওয়ার। যা নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার সমালোচনা। বালির যুবনেতার অভিযোগের ভিত্তিতে এবার পুলিশ বিজেপির মন্ডল সভাপতিকে গ্রেফতার করল নিউ দিঘার হোটেল থেকে।

সম্প্রতি বিজেপির যুব মোর্চার নেতা সৌরভ পাল জানিয়েছিলেন, আমফানের বাড়ি সরানোর জন্য 10 হাজার টাকা তোলা চান এলাকার দলের মন্ডল সভাপতি রাধারমণ গোস্বামী। সৌরভ পাল তোলা দিতে অস্বীকার করায় 28 শে আগস্ট তার কাছ থেকে মন্ডল সভাপতি রাধারমণ গোস্বামী 10000 টাকা ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছিলেন রাধারঞ্জন। অন্যদিকে যুব সংগঠনের নেতা সৌরভ পাল দ্বারস্থ হন তৃণমূলের হাওড়া জেলার নেতা তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বালি এলাকার বিজেপির মন্ডল সভাপতিকে। অন্যদিকে বালির স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই ঘটনাকে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নামান্তর বলে উল্লেখ করেছেন। ধৃত বিজেপি মন্ডল সভাপতি এদিন আদালতে যাওয়ার পথে জানান, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি বিজেপি যুব নেতা সৌরভ পাল। এবং এই পুরোটাই তৃণমূলের চক্রান্তে হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। একইভাবে এই ঘটনাকে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন জেলার বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা। কিছুদিন আগেই বালিতে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে গ্রেপ্তার হন তৃণমূলের এক কর্মী।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, বালি এলাকার রাজনীতি মাফিয়াদের হাতে চলে গিয়েছে। বিজেপি এবং তৃণমূল পাল্লা দিয়ে এলাকায় মাফিয়া রাজত্ব চালাচ্ছে। বালি এলাকার এই ঘটনা সামনে আসায় স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবির অত্যন্ত অস্বস্তির মুখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা স্বভাবতই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরকে বিপর্যয়ের মুখে দাঁড় করাতে পারে। এখন দেখার, অভিযুক্ত মন্ডল সভাপতি দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে দল কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে! অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবির এই ঘটনার পুরোপুরি ফায়দা নেবে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!