এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ১০০ বছর আগের মহামারী খতম করেছিল এক ‘সাইক্লোনই’! আমপান যোগে করোনায় আশা খোঁজার চেষ্টা!

১০০ বছর আগের মহামারী খতম করেছিল এক ‘সাইক্লোনই’! আমপান যোগে করোনায় আশা খোঁজার চেষ্টা!


বর্তমানে করোনাতে স্তব্ধ গোটা দেশ। মহামারী এখন পরিণত হয়েছে অতিমারীতে। এরই মধ্যে বাংলার উপকূলে সুপার সাইক্লোনের থাবা। গোটা বাংলায় একেই প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে ধ্বংসাত্মক রূপ দেখালো সুপার সাইক্লোন আমপান। করোনা পরিস্থিতিতে বার বার অতীতে ঘটে যাওয়া মহামারীর বিষয় মনে করিয়ে দিয়ে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন।

জানা গেছে ১৮৯৪ সালে প্রথম প্লেগ হংকং থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সূত্রের খবর অনুযায়ী ঠিক ১০০ বছর আগে ১৯২০ সালে জার্মান কোম্পানি ডিজি জ্যাক্লোন বি নামক একটি গ্যাস আবিষ্কার করে। জানা গেছে গ্যাসটি সায়নাইড ও ক্লোরিনের কম্পাউন্ড মিশিয়ে তৈরি করা হয়। জার্মানির এই সাইক্লোনের থেকেই জ্যাক্লোন নামটির উদ্ভাবন বলে মনে করা হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে প্লেগ ছড়ানোর উৎস হিসাবে হংকং কেনো দায়ী সে বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন ফ্রান্সের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের আলেকজান্ডার ইয়ারসিন।

তিনিই প্রথম ইঁদুর থেকে প্লেগের ব্যাকটেরিয়াকে সনাক্ত করেছিলেন বলে জানা গেছে। এমনকি ইঁদুরদের মাধ্যমেই যে প্লেগ ছড়িয়েছিল সে বিষয়টিও তিনি জানতে পারেন। জানা গেছে ১৮৯৮ সালে তাঁরই সহযোগী ভারতে এসে সম্পূর্ণ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে যে প্লেগ যখন তার ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে তখন বম্বেতে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ ছিল পরিযায়ী শ্রমিক। মহামারী আইন লাগু করা হয় ১৮৯৮ সালে।

জানা গেছে বম্বেতে প্লেগ ছড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মহামারী আইন চালু করা হয়। সেই সময় বম্বেতে প্লেগে আক্রান্ত ৭০ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ৫০ শতাংশ যে যার নিজ রাজ্যে ফিরে যায়। প্লেগের কারণ যে ইঁদুর সে বিষয় জ্ঞাত হয়েছিল গোটা বিশ্ব। তাই ইঁদুর ধরার জন্য একসময় চাকরি দেওয়া হতো বহু দেশে। উড়িশা বাইটসের তথ্য থেকে জানা যায় সে সময় মালবাহক জাহাজের মধ্যে থাকা দ্রব্যের মাধ্যমে প্লেগ সংক্রমিত হতো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ জাহাজে রাখা খাদ্যদ্রব্য বা পণ্য সামগ্রীতে ইঁদুর মুখ দিত।ফলত যে দেশে সেই জাহাজ পৌঁছাত সেখানে সংক্রমিত হতো প্লেগ। বিষয়টি নজরে আসার পর জাহাজ গুলি বন্দরে পৌঁছালে পণ্যদ্রব্য গুলি বেশ কিছুদিন রেখে দেওয়া হতো। কার্যত অর্থনৈতিক বাজারে দ্রব্য গুলির দাম বৃদ্ধি পেত। এর ফলস্বরূপ বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছিল। জানা গেছে ইঁদুরের মাধ্যমে প্লেগ ছড়ানোর জন্য মূলত জাহাজগুলোকেই দায়ী করেছিল গোটা বিশ্ব।

জানা গেছে জাহাজে যাত্রীদের জন্য যে খাবার রেখে দেওয়া হতো সেই খাবারে ইঁদুরে মুখ দিত। ফলত সেই খাবার খেয়ে সেই যাত্রীরা প্লেগ দ্বারা সংক্রমিত হতো এবং যেখানে পৌঁছাত সেখানেও প্লেগ ছড়িয়ে দিত। সূত্রের খবর থেকে জানা গেছে প্রাথমিকভাবে বৈজ্ঞানিকদের পরামর্শ অনুযায়ী জাহাজগুলোর সালফার ডাই অক্সাইডের ধোঁয়া ছড়িয়ে প্লেগের ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করার পদ্ধতি চালু হয়। সেক্ষেত্রে যতবার জাহাজ ব্যবহৃত হতো ততবার জাহাজটিকে এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হতো বলে জানা গেছে।

এরপর জ্যাক্লোন বি আবিষ্কারের পর প্লেগ দূরীকরণের জগতে সুরাহা মেলে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তাঁদের তথ্য অনুযায়ী জ্যাক্লোন বি গ্যাস ব্যবহারের পর জাহাজ গুলিকে মোট দুবার এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হতো। সেক্ষেত্রে জাহাজের দ্রব্যগুলোকেও বন্দরে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হতো না। জ্যাক্লোন বি প্লেগ দূরীকরণে সত্যিই বিশাল বিপ্লব এনেছিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জার্মানিতে সাইক্লোন এর জন্য জ্যাক্লোন শব্দের ব্যবহার করা হয়েছিল – আর তাই এবার আমপান সাইক্লোন যোগেই কি দূরীভূত হবে করোনা মহামারী? সাইক্লোন শব্দেই তাই আশা জাগছে করোনা মহামারীর সময়ে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!