এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > আমপানের দাপটে বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন! কবে ফেরানো যাবে, দিশাহীন প্রশাসন!

আমপানের দাপটে বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন! কবে ফেরানো যাবে, দিশাহীন প্রশাসন!


ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমপানের দাপট সবে শেষ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রবাহমান অবস্থা দেখেই আঁচ করা গিয়েছিল যে, এই ঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতি খুব একটা সহজলভ্য হবে না। যেমন আশঙ্কা করা গিয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হল। ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বড় বড় গাছ এখন রাজপথে পড়ে গিয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন।

মূলত দক্ষিণ 24 পরগনার উপর দিয়ে এই ঝড় ভয়াবহভাবে দাপট চালিয়েছে। যার ফলে এই জেলার সিংহভাগ এলাকায় এখনও বিদ্যুৎহীন। জানা গেছে, দক্ষিণ 24 পরগনা কাকদ্বীপ, ক্যানিং, ভাঙ্গড়, বারুইপুর, বেহালা, গড়িয়া, ডায়মন্ডহারবার সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় 40 হাজারের বেশি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও কালিকাপুর, গঙ্গাজোয়ারা সাব স্টেশনের বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইনের প্রায় 70 টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গিয়েছে।

ফলে বড় বড় খুটি ভেঙে যাওয়ায় এখন কবে তা সঠিকভাবে মেরামত করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে প্রশাসন। একাংশের আশঙ্কা যে, এই বিদ্যুৎ সংযোগ আসতে প্রায় এক মাসের মত সময় লাগতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু হলেও তা খুব ধীরগতিতে চলছে। আর একদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় বিভিন্ন ঘরে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। মোবাইল চার্জ দেওয়া তো দুর অস্ত, পানীয় জলের সংকট এভাবে তৈরি হওয়ায় এখন জনসাধারণের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদের এই প্রসঙ্গে ক্যানিংয়ের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, “বুলবুলের পরদিনই আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার দেরি হচ্ছে।” কিন্তু এক্ষেত্রে এতটা দেরি হচ্ছে কেন? একটি ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বুলবুলের সময় দুদিনের মধ্যে 80 ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ছয় মাস পরেও এখনও তারা তার বিল পাননি। যার ফলে অনেক ঠিকাদার সংস্থা কাজ পেলেও, তারা ঠিকমত এতে সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন না।

আর এতেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। কিন্তু কবে অবস্থা স্বাভাবিক হবে! ততদিন মানুষ এইভাবে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক সুকুমার সাহানা বলেন, “ঝড়ের পর থেকেই কর্মীরা দ্রুত গতিতে কাজ করছেন। শুক্রবার রাতের মধ্যেই হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ধাপে ধাপে সব এলাকায় বিদ্যুৎ পাবেন।” তবে মানুষের ন্যুনতম চাহিদার মধ্যে যে জিনিসটা থাকে, তার নাম হল বিদ্যুৎ।

তাই বিদ্যুৎ না থাকলে মানুষের ঘরে যেমন সমস্যা, ঠিক তেমনই পানীয় জলের ক্ষেত্রেও ব্যাপক সংকট দেখা দেবে। তাই অবিলম্বে প্রশাসনের এই বিষয়টা দেখা উচিত বলেই দাবি করছেন সাধারণ মানুষ। তবে যেভাবে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের দাপট চলেছে, তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কতটা সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!