এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > আমপানের দাপটে নষ্ট লক্ষ লক্ষ টাকার সামগ্রী, রমজানে এবার রেশন দেওয়া নিয়েই সমস্যায় প্রশাসন

আমপানের দাপটে নষ্ট লক্ষ লক্ষ টাকার সামগ্রী, রমজানে এবার রেশন দেওয়া নিয়েই সমস্যায় প্রশাসন


একদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে রেশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক ত্রাণ বিলি করা হয়েছে। আর এর মাঝেই হঠাৎ করেই রাজ্যে উদ্ভব হয় আমপান নামক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের। যেখানে এই ভয়াবহ দুর্যোগের আজ অনেক মানুষ ঘরছাড়া। অনেকের মাথার ছাদ পর্যন্ত উড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে চলে এসেছে রমজানের সময়। একদিকে গত মে মাসেই রেশনে 90% জিনিস বিলি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রমজানের প্যাকেজ বন্টন অনেকটাই বাকি।

তাই এমতাবস্তায় দুর্যোগের কারণে সেখানে থাকা ময়দা, চিনি, ছোলার প্যাকেট ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন সংকট তৈরি হয়েছে খাদ্য দপ্তরের অন্দরে। প্রসঙ্গত, অন্তোর্দয় অন্ন যোজনা আর স্পেশাল প্রায়রিটি হাউজহোল্ডদের মধ্যে এই সংখ্যালঘু মানুষদের জন্য রমজান প্যাকেজ দেওয়ার ঘোষণা করেছিল সরকার। তবে ভয়াবহ দুর্যোগের পূর্বাভাস পেয়ে গত কুড়ি তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত রেশন দোকান বন্ধ রাখা হয়েছিল। আর এই দুর্যোগের পর এখন অনেক রেশন দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে।

ফলে রমজান মাসের সময় এখন সংখ্যালঘু মানুষদের সেই ক্ষতির মুখে পড়া রেশন দোকান থেকে প্যাকেট বের করে কিভাবে তা বিলি করা যাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। জানা গেছে, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, দুই 24 পরগনার বিভিন্ন অংশে 278 টি রেশন দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে 93 টি দোকানের ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। তাই সেই সমস্ত দোকান এখন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু রমজান মাসের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে ঘোষণা করা হয়েছিল, তাতে যদি সাধারণ সংখ্যালঘু মানুষদের এই সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ার আশঙ্কা করছেন একাংশ। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ কারও হাতেই নেই। আর সেই দুর্যোগের ফলে যেভাবে রেশন দোকানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে এখন সেই সমস্ত মানুষদের কিভাবে সহযোগিতা করা হবে, তা নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়েছে খাদ্য দপ্তরে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, “গোটা পরিস্থিতি দপ্তরকে জানানো হয়েছে। সংগঠনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, খারাপ মাল আমরা দেব না। দরকারে রেশন দোকান বন্ধ রাখব। কিন্তু খারাপ মাল দেব না। শুধু যা ভিজেছে, তাই নয়। আর্দ্রতা ট্রেনে আরো অনেকটা অংশ নষ্ট হবে। দ্রুত সেসব বের করে ফেলতে হবে।” তবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে কি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “সর্বত্র আমাদের লোক পাঠানো হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট মিলবে বলে আশা করছি। তারপরে জলে ভেজা খাদ্যশষ্য সরিয়ে ফেলা হবে।” কিন্তু রমজান মাসের মুহূর্তে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, এখন তা কতটা পালন করা যাবে, তার দিকে নজর রয়েছে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!