এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘আমার বাড়িতেও লাইন নেই। আমি আর ববি তিন চারদিন ঘুমাইনি’ – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘আমার বাড়িতেও লাইন নেই। আমি আর ববি তিন চারদিন ঘুমাইনি’ – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


প্রায় ৭২ ঘণ্টা হতে চলল, বাংলার বুকে ধ্বংসলীলা চালিয়ে বিদায় নিয়েছে আমফান। কিন্তু এখনও প্রায় প্রতিটি প্রান্তে রয়ে গিয়েছে তার ক্ষতচিহ্ন। যা মেরামতিতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আমফান এ রাজ্যে অন্তত ৮৬ জনের প্রাণ কেড়েছে। হেক্টরের পর হেক্টর জমির ফসল নষ্ট, অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেঙে পড়া-সহ কতশত যে ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেব এখনও বোধহয় করে ওঠা সম্ভব হয়নি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশের পাশাপাশি বিদ্যুত্‍ পরিষেবা বিপর্যস্ত কলকাতায়। জল সরবরাহেও ব্যাপক ঘাটতি।শনিবার ফের দক্ষিণ ২৪ পরগণা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর সেখানে যাওয়ার আগেই একটু ধৈর্য ধরার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ।

বাড়ি থেকে বেহালা যাওয়ার পথে তারাতলা সিইএসসি অফিসের সামনে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখে কনভয় থামিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি থেকে নেমে মানুষের কাছে গিয়ে আবেদন জানিয়ে বলেন, আমি সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। চেষ্টা চলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার। তারাতলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাড়িতেও লাইন ( বিদ্যুত্‍ সংযোগ) নেই। ভূতের মতো আছি।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ একটু ধৈর্য ধরুন, বিদ্যুত্‍ পরিষেবা মিলবে । অযথা বিক্ষোভ না করে বিদ্যুত্‍ কর্মীদের কাজ করতে দিন’।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখানেই শেষ নয় এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “‘কেউ কেউ লোকজনকে ক্ষেপিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছেন। আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, এটা করবেন না। এখন রাজনীতি করার সময় নয়। আমার ফোনও কাজ করছে না। আমি আমার মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। জেলায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।’

মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন ,আর তাই তিনি এবং কলকাতার পুর প্রশাসক ববি হাকিম তিন-চারদিন ঘুমোননি। তিনি আরো বলেন, ‘১৭৩৭ সালে এমন ঝড় হয়েছিল। তারপর এইরকম হল। একটু সহ্য করতে হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। সবটা সরকারের হাতে নেই।’

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিইএসসি নিয়ে বলেন, ‘আমি নিজে সিইএসসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওরা বলছে করোনার জন্য ৯০ শতাংশ লোক এদিক ওদিক ছিটকে গেছে। আজও বৈঠক হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে আরও লোক কাজে লাগানোর।’ ওড়িশার ফণীর উদাহরণ টেনে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওদের দেড়মাস লেগেছিল বিদ্যুত্‍সংযোগ পুনর্গঠন করতে। এখানে তিনগুণ ঝড় হয়েছে। শহরে সাতদিন লাগবেই। গ্রামেগঞ্জে কতদিন লাগবে আমি জানি না।’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!