সরকারি অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাদের মঞ্চে তুলে, পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে বাবুল সুপ্রিয় জাতীয় September 20, 2018 বেশ কয়েক বছর আগে তিন তালাকের অভিশাপ থেকে মুসলিম মহিলাদের মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ২০১৭ সালের আগষ্টে তাৎক্ষণিক তিন তালাককে বেআইনি এবং অসাংবিধানিক রায়ও দিয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত আইন পাশ করানো নিয়ে ফের শুরু হয়েছে রাজনীতি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগেই তিন তালাক বিলটি ঝুলি থেকে বের করল মোদী সরকার। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটগুলো নিজেদের দিকে টানতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদীজি-অমিত শাহরা, এমনটাই দাবি বিরোধী শিবিরে। তৎক্ষণিক তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে ঘোষণা করতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) পাশ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। মুসলিম মহিলাদের স্থান সমাজে আরো উন্নত করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। এমটাই জানা যাচ্ছে বিজেপি সূত্রের খবর থেকে। এর আগে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে তালাক-ই-বিদ্দত বা তাৎক্ষণিক তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে তুলে ধরেছিল কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যসভায় সেটা পাশ না হওয়ায় সেটি আর আইন হয়ে উঠতে পারেনি। বিলটির ‘ফৌজদারি অপরাধ’ এর দাবী তুলে রাজ্যসভায় সেটি পাশ করা হয়নি। উল্লেখ্য,দেশের স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় ‘তিল তালাক’ বিলটি নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি করার কারণে তিনি দোষারোপ করেছিলেন বিরোধীদের। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে ওদিকে বিরোধীরা এর জন্য দায়ী করছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তাঁদের যুক্তি,বিল পাশ করার হলে লোকসভার বাদল অধিবেশনের একমাসের মধ্যেই করা যেতো, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো সদিচ্ছাই ছিল না। এখন ওই একই ইস্যুকে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটের বাড়তি সুযোগ নিতে চাইলে মোদী সরকার। আপাতত এই ‘তিন তালাক’ ইস্যু নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলের অন্দরে। আপনার মতামত জানান -