এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারি বা ফাঁসানো নিয়ে এবার অমিত শাহের নির্দেশে বৃহত্তর আন্দোলনে বিজেপি

নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারি বা ফাঁসানো নিয়ে এবার অমিত শাহের নির্দেশে বৃহত্তর আন্দোলনে বিজেপি


রাজ্যে এখন ঘাসফুল বনাম পদ্মফুলের লড়াইয়ের উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতি। সম্প্রতি একের পর এক নির্বাচনে শাসক তৃনমূলের বিরুদ্ধে লড়াই দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। আর এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় বঙ্গের বিজেপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন যে, রাজনৈতিক ভাবে পাল্লা দিতে না পেরে রাজ্যের শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস  বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তারের পথ বেছে নিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালই দিল্লির করোলবাগ থেকে ধর্ষনের মত গুরুতর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক তথা আরএসএস প্রচারক অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে। তবে শুধু এই অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়ই নয়, কদিন আগে এলপিজিতে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় বঙ্গ বিজেপিরই আরেক নেতা রনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কেও। আর লোকসভা ভোটের বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাখির চোখ সেই বাংলাতেই একের পর এক দলীয় নেতা গ্রেপ্তারে প্রবল চাপে পড়েছে গেরুয়া শিবির।

দলীয় সূত্রের খবর, এবার এই নেতা কর্মী গ্রেপ্তারে শাসকদল তৃনমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে দলের বঙ্গ ব্রিগেডকে মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পাশাপাশি গতকাল কাঁথিতে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়িতে হামলা চালানো, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস চালানো সহ একগুচ্ছ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে আন্দোলন চালানোর সাথে সাথে রাস্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে বিজেপি। এবারে রাজ্যে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নিয়ে মাঠে নামছে তাঁরা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এই প্রসঙ্গে দলের অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, “তৃনমূল যদি ভাবে যে ওদের ভয়ে আমরা আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে যাব তাহলে ওরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।” অন্যদিকে বাংলায় দলীয় কর্মীদের ওপর এহেন অত্যাচার প্রসঙ্গে বিজেপির বাংলার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সহনেতা সুরেশ পুজারী দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে শাসকদলের করা কর্মীদের সমস্ত এফআইআরের কপি চেয়ে পাঠিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, ” তৃনমূল বিরোধীতায় পিছু হঠা তো দূর অস্ত। এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, জাতীয় স্তরে বিজেপিকে সরাতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন তৃনমূল সুপ্রিমো তথা এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই এবারে সেই তৃনমূল সরকারের আমলে দলীয় কর্মীদের ফাঁসানোয় তৃনমূল বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে নিজেদের রাজনৈতিক অস্ত্রে শান দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!