“ভাইপো কুলতলির মাটিতে বড় বড় কথা বলে গিয়েছিল। সিবিআই, ইডি কাঁচকলা করবে। এখন কী বলবেন বন্ধু?” – বিস্ফোরক শুভেন্দু তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি February 23, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ কুলতলিতে সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই সভা থেকে তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন। প্রসঙ্গত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের আগমনের ঘটনাকে তীব্র ভাষায় প্রবল কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাবে ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, এক সময় এই কুলতলির মাটিতে এসে বড় বড় কথা বলে গিয়েছিলেন ভাইপো। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন যে, সিবিআই, ইডি তাঁর কাঁচকলা করবে। তাঁর প্রতি তিনি প্রশ্ন করলেন, এখন তিনি কি বলবেন? তিনি জানালেন আজ আর দুয়ারে সরকার নেই, আজ দুয়ারে সিবিআই। এরপর তোলাবাজ ভাইপো বলে সম্বোধন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন যে, তাঁকে অপেক্ষা করতে। ইতিপূর্বে তিনি চেক দেখিয়ে ছিলেন। এবার দেখাবেন তিনি লালার ডায়েরি। তিনি জানালেন যে, ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে ২০২০ সাল পর্যন্ত কোথা থেকে কত টাকা তোলা হয়েছে? সমস্ত কিছু তাঁর কাছে আছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, আজ হরিশ মুখার্জি রোডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবার কিছুক্ষণ পর সিবিআই আধিকারিকেরা এসে পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, একসময় প্রাক্তন পুলিশ সুপার রাজীব কুমারকে বাঁচাতে ধর্না দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ১০০ কোটির বিরাট প্রাসাদ তৈরি করেছেন ভাইপো। যদি সিবিআই না যেত, তাহলে এই প্রাসাদ কেউ দেখতে পেত না। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন যে, মাননীয়া বলতে গিয়েছিলেন যে, তাঁর বৌমা কীর্তিমান, ভাইপোর নাম না নিতে। ইতিপূর্বে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন যে, থাইল্যন্ডে ম্যাডাম নারুলার একাউন্টে কয়লা পাচারের অর্থ জমা পড়েছে। এ প্রসঙ্গে আজ আবার শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, বারুইপুরে বিজেপির সভা থেকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকের চেক তিনি দেখেছিলেন। লালার টাকা জমা হয়েছিল ম্যাডাম নারুলার একাউন্টে। ম্যাডাম নারুলা কার বোন? বা কার বৌ? সে কথা তিনি জানাননি, কিন্তু ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনির মতো এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, তাঁর স্ত্রীকে টেনে আনা হচ্ছে। বিদেশে টাকা পাচার করলে কি স্ত্রীকে ধরে টানা হবে? তিনি জানালেন যে, কানিমোঝিকেও জেলে যেতে হয়েছিল। এভাবে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। আপনার মতামত জানান -