নতুন রাজ্য সভাপতি পেতেই এবার রাজ্য কমিটি ঢেলে সাজাচ্ছে টিএমসিপি রাজ্য September 20, 2018 কলেজে কলেজে ভর্তিতে তোলাবাজি, ক্যাম্পাসে গোষ্টীকোন্দল সহ বিভিন্ন কারনে তৃনমূল ছাত্র পরিষদকে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন খোদ তৃনমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়বাড়ন্ত রুখতে দলের ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রী পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় জয়া দত্তকে। আর এরপরেই তৃনমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষনা করেন যে, “ছাত্ররাই এই ছাত্র রাজনীতি করবে। কোনোরুপ বহিরাগত এবং ছাত্ররা এই সংগঠনের কোনো পদে থাকতে পারবেন না।” এমনকী জেলায় জেলায় তৃনমূল ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটিগুলিও ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর সম্প্রতি সেই তৃনমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি পদে বসানো হয় তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে। সহ সভাপতি থেকে বিগত কমিটির গৌতম ভট্টাচার্য এবং রেজাউল মন্ডলকে বাদ দিয়ে আনা হয় রুমানা আক্তার এবং আগের কমিটির মনিশঙ্কর মন্ডলকে। বস্তুত এরা প্রত্যেকেই এখনও পড়াশোনার সাথেই রয়েছেন। কিন্তু তৃনমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটির সভাপতি এবং সহ সভাপতির নাম ঘোষনা হলেও এখনও পুরো কমিটি এবং প্রতিটি জেলার কমিটি গঠন বাকি রয়েছে। জানা গেছে, জেলায় 35 পার হওয়া ব্যাক্তিরাও এখনও ছাত্র করার জন্য এবং সভাপতি পদে থাকার জন্য নতুন করে কলেজ এবং মুক্ত বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হতেও শুরু করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য এবং জেলা কমিটিতে দক্ষ বক্তা এবং ছাত্ররাই যে স্থান পাবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত অনেকেই। এদিকেই এরই মাঝে গত মঙ্গলবার তৃনমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য। জানা গেছে, এদিন শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করে রাজ্য কমিটি এবং জেলা কমিটি গঠনের ব্যাপারে কথা বলেন তিনি। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর এরপরেই তৃনমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নতুন কমিটিতে ছাত্রদের নিতে বলা হয়েছে। সুবক্তা এবং ছাত্রসমাজে গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে এরকম ব্যাক্তিদের পদাধিকার দিতে হবে।” তবে নতুন কমিটি গঠনে এবার সেই তৃনাঙ্কুরের ওপরেই ভরসা রাখছেন তৃনমূল মহাসচিব। একাংশের মতে, প্রায় প্রতিটি জেলাতেই শাসকদলের ছাত্রসংগঠনে সুবক্তা এবং দক্ষ সংগঠক রয়েছে। কিন্তু গোষ্টীকোন্দলের জেরে সেই সব ছেলেরা আজ পেছনের সারিতে। তাই এই নতুন কমিটিতে জেলার ছাত্র সংগঠনে সেই ছেলেদের দূরবীন দিয়ে খুঁজতে আদৌ সমর্থ হয় কি না শাসকদল! সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -