এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ফের বৈশাখী-শোভনকে নিয়ে বিস্ফোরক শোভন জায়া রত্না চ্যাটার্জী

ফের বৈশাখী-শোভনকে নিয়ে বিস্ফোরক শোভন জায়া রত্না চ্যাটার্জী


ফের একবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে অভিযোগের তোপ দাগেন শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভন-বৈশাখীর সম্পর্ক নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করতেও পিছপা হলেন না রত্না দেবী। জানালেন, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতো মহিলার কবল থেকে থেকে না বেরোতে পারলে সুদিন আসবে না মেয়রের। তৃণমূলের আমলারা তাঁর উপরে নন, ক্ষুব্ধ বৈশাখী দেবীর উপরেই। এই মহিলাই নাকি মেয়রকে বশ করে প্রচুর টাকা,গয়না নিয়ে একদিন চম্পট দেবেন। সেদিন সর্বহারা শোভনবাবুকে তিনি ঘরে ফিরিয়ে আনবেন বলেও দাবী করেন। এছাড়া আরো জানান যে, রাজ্যের নেত্রী নাকি বার্তা পাঠিয়েছেন যে যদি রত্নাদেবী ইচ্ছে রাখেন তবে মিউচুয়াল ডিভোর্সের জন্য তিনি শোভনবাবুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কিন্তু এটা করতে তিনি একদমই নারাজ। শোভনবাবুকে আদালতের দ্বারস্থ করতে চান তিনি। আর এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন তিনি এটাও জানিয়ে দেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

রত্নাদেবী মন্তব্য শুনে মেয়র তাঁর ও বৈশাখীদেবীর সম্পর্ককে সমর্থন করে জানান যে তাঁর স্ত্রী রত্নাদেবীর কারণেই নাকি তাঁর পথে বসার মতো অবস্থা হয়েছিলো। তাকে অন্ধাকারে রেখে রত্নাদেবী সারছিলেন অনেকগুলো কাজ। তবে বৈশাখীর বুদ্ধিমত্তা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতাই তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে এমনটাই জানান তিনি। তাই বৈশাখীর সামাজিক সম্মানহানি করার অধিকার রত্না চট্টোপাধ্যায় এর নেই বলেই গর্জে ওঠেন তিনি। তাছাড়া রত্নাদেবী ব্যক্তিগত ঝামেলার ভিতর তৃণমূল কংগ্রেসকে টেনে নিজের সীমা লঙ্ঘন করছেন।

অন্যদিকে, শোভনবাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ব্যাপারে সরব হলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও রত্নাদেবীর দিকে পাল্টা তোপ দেগে বলেন যে, রত্না চট্টোপাধ্যায় এর চাওয়া না চাওয়ার উপর ভিত্তি করে শোভনবাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়নি। রত্নাদেবীর থেকে শোভনবাবু নিজেকে গুটিয়ে এনেছেন তাই হতাশ হয়ে তিনি এ ধরনের মনগড়ন কাহিনী বানাচ্ছেন। তবে এসব নিয়ে একদমই প্রভাবিত নন তিনি। কিন্তু এবার জল মাথার উপর দিয়ে গড়াচ্ছে। পরিস্থিতি সহ্যাতীত। কারণ অনেক অযৌক্তিক মন্তব্য করেছেন রত্নাদেবী তাকে নিয়ে। বৈশাখীদেবীর উপর নাকি তৃণমূল নেতৃত্ব ক্ষিপ্ত। এমনটাই দাবী করেছিলেন রত্না দেবী। তার পরিপ্রেক্ষিত পাল্টা প্রশ্ন তুলে বৈশাখী দেবী জানান যে তাহলে দক্ষিন ২৪ পরগনার তৃণমূল সভানেত্রীর পদ থেকে কেন সরানো হল রত্না চট্টোপাধ্যায়কে? এছাড়া আরো জানান যে শোভনবাবুর থেকে উনি প্রচুর টাকা গয়না হাতিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি আরো জানিয়েছেন যে, পরিবার থেকে সেসবই তিনি পেয়েছেন তার শিক্ষকতার পেশা কারনে কোনো কিছুরই অভাব নেই তাঁর। রত্নাদেবী নিজেই কলঙ্কিত তাই এরকম মিথ্যে দোষারোপ করেন অন্যের সম্পর্ক নিয়ে। তাই এবার তিনি বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়ে দেন। এভাবে শোভন- বৈশাখীর সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের জেরে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!