এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার পরিস্থিতি ভয়াবহ, শুভেন্দুকে দেখেই কৌতুহলী ধনকর! চাপে তৃণমূল!

বাংলার পরিস্থিতি ভয়াবহ, শুভেন্দুকে দেখেই কৌতুহলী ধনকর! চাপে তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার যা পরিস্থিতি করে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল মিলে, তাতে এই বাংলাকে ভয়াবহ বললে খুব একটা ভুল হবে না। দীর্ঘদিন এই বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন জয়দীপ ধনকর। আর তিনি রাজ্যপাল থাকার সময়ে খুব কাছ থেকে দেখেছেন যে, এই বাংলার শাসক কতটা স্বৈরাচারি! কিভাবে সেই শাসককে টাইট দিতে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বর্তমান রাজ্যপাল যে কিছুই করতে পারছেন না, সেই কথা বলতে দ্বিধা হয় না বিজেপি নেতৃত্বদেরও। আর এই পরিস্থিতিতে আজ হঠাৎ করেই দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর বাংলার বিরোধী দলনেতাকে দেখেই পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কৌতুহলী হতে দেখা যায় দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে। অনেকেই বলছেন, জগদীপ ধনকর যখন রাজ্যপাল ছিলেন, তখন বাংলাকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আজকে তার থেকেও খারাপ পরিস্থিতি এই পশ্চিমবঙ্গের। আর সেটা হয়ত খবর নিয়ে জানতে পেরেছেন ধনকার সাহেব। সেই কারণেই বাংলার বিরোধী দলনেতাকে দেখে বাংলার দৈন্যদশা কোন জায়গায় পৌঁছেছে, কতটা ক্ষতি করছে এই রাজ্যের শাসক দল পশ্চিমবঙ্গের, সেই সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য কৌতুহলী হতে দেখা গেছে উপরাষ্ট্রপতিকে বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, গতকাল হঠাৎ করেই দিল্লী উড়ে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই নানা মহলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে, হঠাৎ কেন শুভেন্দুবাবু দিল্লি চলে গেলেন! তাহলে কি তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, নাকি তিনি স্বেচ্ছায় নিজে থেকেই দিল্লি গেলেন! তবে এই সম্পর্কে তেমন কিছু জানা না গেলেও, শুভেন্দু অধিকারী আজ দিনভর যে সমস্ত ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের সঙ্গে যে সমস্ত বিষয় আলোচনা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এবং বর্তমানে দেশের উপর রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষাৎ। অনেকে বলছেন, ধনকর সাহেব খুব ভালো মতোই জানেন পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন রাখেনি এই তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি রাজ্যপাল থাকার সময় তৃণমূলের দাপট দেখেছেন। দেখেছেন তাদের স্বেচ্ছাচারিতা। দেখেছেন তাদের অন্যায়। মাঝেমধ্যেই রাজ্যপাল হিসেবে এই শাসক দলকে সতর্ক করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন। আর এখন তিনি দেশের উপরাষ্ট্রপতি। তাই তার কাছে বাংলার বিরোধী দলনেতা হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হাহাকার আরও একবার তুলে ধরার সুযোগ পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর যখন দেশের উপরাষ্ট্রপতি নিজে থেকেই এই বাংলা সম্পর্কে বিরোধী দলনেতার কাছে কৌতুহল প্রকাশ করলেন, তখন বোঝাই যাচ্ছে যে, বাংলা নিয়ে দিল্লি কতটা চিন্তিত!

বিজেপির দাবি, রাজ্যপাল থাকার সময় এই শাসক দলকে আচ্ছা মত টাইট দিয়েছিলেন জগদীপ ধনকর। বাংলায় যে আইনের শাসন নেই, সেটা তিনিও খুব ভালো মতো জানেন। তাই দেশের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি কেমন, সেটা বিরোধী দলনেতার কাছে খোঁজ নিয়েছেন। আর এভাবেই যদি আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের এর চরম পরিণতি পোহাতে হতে পারে। তাই এখন থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমান রাজ্যপালকে নিজেদের মত করে বুঝিয়ে যা ইচ্ছে তাই করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি এই রাজ্যপালের বক্তব্য এবং তার কাজকর্ম নিয়ে উৎসাহিত নন পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণ। তারা সকলেই চাইছেন যে, জগদীপ ধনকরের মতো ব্যক্তিত্ব এই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের আসনে থাকুক। যাকে দেখে প্রতি মুহূর্তে ভয় পেত এই তৃণমূলের নেতারা। আর পশ্চিমবঙ্গকে কতটা বিপদের মুখে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তা আজকে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চেয়েই স্পষ্ট করে দিলেন জগদীপ ধনকর। কারণ তিনি একসময় এই রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন এবং তিনি দেখেছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গকে কতটা ভয়ানক জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল। তাই বিরোধী দলনেতাকে দেখে সেই বাংলার খোঁজ নিয়ে একটা মেসেজ জয়দীপ ধনকর বাংলার জন্য সুকৌশলে দিয়ে রাখলেন। যার ফলে কিছুটা হলেও আবার নতুন করে চিন্তা শুরু হবে তৃণমূলের মধ্যে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!