এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শহীদ দিবস পালনের মাধ্যমে দেশজুড়ে বিস্তার লাভের চেষ্টা তৃণমূলের, কি প্রতিক্রিয়া বিজেপির?

শহীদ দিবস পালনের মাধ্যমে দেশজুড়ে বিস্তার লাভের চেষ্টা তৃণমূলের, কি প্রতিক্রিয়া বিজেপির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশে জুলাই পালনের মধ্যে দিয়ে দেশজুড়ে সংগঠন বিস্তারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট জয়ের পর এবার আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল। এবার মুখ্যমন্ত্রীর একুশে জুলাই এর ভাষন শোনানো হবে দেশজুড়ে। উত্তরপ্রদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খন্ড সহ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাটেও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শোনানো হবে। জানা যাচ্ছে গুজরাটের মোট ৫০ টি স্থানে জায়ান্ট স্ক্রিন বসিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সম্প্রচার করা হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গুজরাটের গিয়ে বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। তাই যে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে একসময় বলতে শোনা যেত যে, বাংলাকে তিনি গুজরাট হতে দেবেন না। এবার সেই গুজরাটেই বিজেপিকে কোণঠাসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন, বিজেপি এবার পাল্টা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে?

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের সময় গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা বিজেপির নেতাদের বহিরাগতর তকমা দিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে। বাঙালির জাতিগত উষ্মাকে তুলে ধরেছিল তৃণমূল। মানুষকে বোঝানো হয়েছিল, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে বাঙালির ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে। অর্থাৎ বাঙালিয়ানা, বাঙালি সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেই চমকপ্রদ ফল লাভ করেছিল তৃণমূল। কিন্তু এবার তৃণমূলকে নিজের অস্ত্রেই ঘায়েল করতে পারে বিজেপি। এমন একটা সম্ভাবনার কথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। সে ক্ষেত্রে বহিরাগত অস্ত্র তৃণমূলের ওপর পাল্টা হিসেবে ফিরে আসতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, তৃণমূলের শহীদ দিবসের পাল্টা হিসেবে আজ শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করতে চলেছে বিজেপি। নির্বাচনের ফলাফলের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের স্মরণে আজ রাজ্যজুড়ে ভার্চুয়াল সভা করা হবে বিজেপির পক্ষ থেকে। আবার দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ধর্নায় বসতে চলেছেন বিজেপির সাংসদরা। বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয় থেকে শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করা হবে। আবার বুথ কার্যালয়, মন্ডল কার্যালয়, জেলা কার্যালয়ে বিজেপির জন প্রতিনিধি ও নেতা-নেত্রীরা দলের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। রাজ্যের প্রকৃত অবস্থা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সারা বিশ্বের বাঙালির কাছে তুলে ধরবেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রাখলেও মাত্র ৭৭ টি আসন নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে বিজেপিকে। ভোটের ফলাফলের পর বিজেপি শিবিরে ক্রমাগত ভাঙ্গন দলকে দুর্বল করে তুলেছে। এ কারণে হতাশা ভর করেছে বিজেপি শিবিরে। তবে, এবার সমস্ত হতাশা দূর করে একেবারে মরণপণ সংগ্রামের পথে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের শহীদ দিবসের পাল্টা হিসেবে শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালনের মাধ্যমে এ পথেই হাঁটতে চলেছে বিজেপি। আবার একাধিক রাজ্যে তৃণমূলের শহীদ দিবস পালন সম্পর্কে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস আবার উত্তরপ্রদেশে? যারা তৃণমূলে কাজ করেননি, তাঁরা জানেন না। কিন্তু তিনি এই দলের সঙ্গে ছিলেন, তাই তিনি সব জানেন। অসম, ত্রিপুরাতে নির্বাচনী লড়াই করেছিল তৃণমূল। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে তৃণমূল। বাইরের রাজ্যে তৃণমূল গরুর গাড়ির হেডলাইট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!