প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান লড়াই যে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হবে, তা কারোরই অজানা নয়। কিন্তু এই দুই রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এখন রীতিমত জোট গঠন করতে উদ্যোগী বাম এবং কংগ্রেস। যেনতেন প্রকারেন এই দুই রাজনৈতিক দলকে কুপোকাত করতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন তারা। তবে দিনকে দিন অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়ে যাওয়া এই দুই রাজনৈতিক দল আদৌ কতটা ভালো ফল করবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় আসলে তাদের প্রথম কাজ কি হবে, তা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। আর তারা তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার সাথে সাথে তাদের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সরব হতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি দুই দলকেই দুর্নীতিতে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছে বাম এবং কংগ্রেস।

স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে এবার সেই তৃণমূল এবং বিজেপিকে আক্রমণ করে ক্ষমতায় আসলে প্রথম কাজ কি হবে, তা জানিয়ে দিলেন হেভিওয়েট সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এই সিপিএম নেতা বলেন, “বিজেপি বলেছিল, ক্ষমতায় আসতে পারলে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্তদের কোমরে দড়ি বেঁধে জেলে ঢোকাবে। দুর্নীতিগ্রস্তরা বিজেপিতে চলে যাচ্ছেন। আমরা 2021 এ ক্ষমতায় ফিরে প্রথমে যে কাজটা করব, সেটা হল এই দুজনের কোমরে দড়ি বেঁধে জেলে ঢোকাবো।” অর্থ্যাৎ সুজন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি দুইদলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, বর্তমানে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগদান করলে অনেকেই এই দলবদল প্রক্রিয়াকে ভালো চোখে নিতে পারছেন না। অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, যারা তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা, তারা কেন এখন বিজেপিতে আশ্রয় নিচ্ছেন! তাহলে বিজেপিও যে তৃণমূলের মত হবে না, এর নিশ্চয়তা কোথায়? আর এই পরিস্থিতিতে সেই বিষয়টিকে তুলে ধরে এই ঘাসফুল শিবির এবং পদ্মফুল শিবিরকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে বাম এবং কংগ্রেস।

আর সেই দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলে এই কাজ প্রথমে করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এক্ষেত্রে নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে দুই রাজনৈতিক দলকে যেমন কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি, ঠিক তেমনই ক্ষমতায় এলে দুর্নীতিগ্রস্তদের কোনোভাবেই তারা ছাড় দেবেন না তা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন সিপিএমের এই শীর্ষ নেতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে সুজন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।