শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে মদন মিত্র-শশী পাঁজার তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাগবাজারে বিশেষ খবর রাজ্য January 14, 2018 পোস্টের লাগানো বিতর্ককে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই হেভিওয়েট নেতা নেত্রী মদন মিত্র ও শশী পাঁজার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে কলকাতার বাগবাজার এলাকায়। আর যা সামনে আসতেই তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাগবাজারের স্থানীয় দুর্গাপুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, এমনকী বাগবাজারে গঙ্গা আরতি চালুর ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য বলে দাবি তাঁর অনুগামীদের। আর তাই, দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পাশাপাশি, নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতেও বাগবাজারের অনেক জায়গায় মদনবাবুর পোস্টার, ব্যানার পড়েছে, কাট-আউটও রয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। আর এই নিয়েই তীব্র অসন্তোষ স্থানীয় নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার অনুগামীদের মধ্যে। এমনকি এই নিয়ে অসন্তোষ উগরে দিয়েছেন খোদ শ্যামপুকুরের বিধায়ক স্বয়ং। এই প্রসঙ্গে শশী পাঁজার অনুগামীদের বক্তব্য, রাস্তার যেখানে-সেখানে মদন মিত্রের পোস্টার দিয়ে স্থানীয় বিধায়কের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে। না হলে কামারহাটি ছেড়ে এখানে পোস্টার দেওয়ার অর্থ কী? শশী পাঁজার নামে পোস্টার তো কামারহাটি এলাকায় পড়ে না! শহরের অন্য জায়গাতেও তো তা হলে মদন মিত্রের নামে পোস্টার পড়তে পারে। কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না! তার মানে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে! মন্ত্রী স্বয়ং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কারও পছন্দ হতেই পারে, সেক্ষেত্রে ঘরের মধ্যে পোস্টার লাগিয়ে রাখলেই হয়। কিন্তু বাগবাজারে পোস্টার-ব্যানার লাগানোটা কি খুব স্বাভাবিক ব্যাপার? এতে কি নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে না? কয়েকজন প্ররোচনামূলক কাজটা করে যাচ্ছেন ধারাবাহিকভাবে। অন্যদিকে মদনবাবুর অনুগামীরা জানিয়েছেন, ‘মদনদার’ পোস্টার রাজ্যের সব জায়গাতেই রয়েছে, সুতরাং বাগবাজারে রয়েছে কেন সে প্রশ্ন তোলা অর্থহীন। আর এই বিষয়ে মদন মিত্র স্বয়ং সাঙ্গাব্দমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কেউ তো আর তৃণমূলের নাম দিয়ে পোস্টার টাঙায়নি, তেমনটা হলে অবশ্যই অন্যায় হতো। এখন কোথাও যদি আমার অনুগামী থাকেন, কেউ যদি আমাকে পছন্দ করে ছবি টাঙান, তাহলে আমার কী বলার আছে? তাঁদের প্রত্যেককে আমার নববর্ষের শুভেচ্ছা। দলের দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর সামান্য পোস্টের লাগানোকে নিয়ে এইভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -