এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার ঘোষণা উড়িয়ে লকডাউন ভাঙলেন খোদ হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক! চূড়ান্ত বিতর্ক শুরু রাজ্য জুড়ে

মমতার ঘোষণা উড়িয়ে লকডাউন ভাঙলেন খোদ হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক! চূড়ান্ত বিতর্ক শুরু রাজ্য জুড়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসকে আটকাতে চলছে লকডাউন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই লকডাউন অমান্য করতে দেখা যাচ্ছে নেতা বিধায়কদের। এবার গণেশ পূজো উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে বিধি ভেঙে রেল শহর খড়্গপুরে জমজমাট বাজার চলতে দেখা গেল। যেখানে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকার। জানা গেছে, এদিন তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকারের বেশ কিছু অনুগামী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন।

যেখানে তারা জানিয়ে দেন যে, বিধায়কের প্রচেষ্টায় গণেশ পূজার জন্য বিকেল চারটে থেকে লকডাউন শিথিল করা হল। আর এর পরেই খড়গপুর শহরের বিভিন্ন বাজারে করোনা সংক্রমনের মধ্যেও ব্যাপক জমায়েত করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। জনপ্রতিনিধি হয়ে কিভাবে রাজ্য সরকারের এই আইন অমান্য করতে পারেন, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন।

যেখানে করোনা ভাইরাস হু হু করে বাড়ছে, সেখানে এইভাবে গনেশ পূজা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করে দেওয়ার যে কথা বিধায়কের অনুগামীরা শোনালেন, তাতে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে পড়বে রাজ্য সরকার বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। পাশাপাশি এই গোটা ঘটনায় বিরোধীরাও ইতিমধ্যে চেপে ধরেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এভাবে নিজের অনুগামীরা লকডাউন শিথিল করার কথা বলায় প্রদীপবাবুও যে এখন বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

একাংশ বলছেন, তিনি তো শাসকদলের বিধায়ক। যেখানে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত রকম জমায়েত এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলছেন, সকলকে লকডাউন পালন করার কথা বলছেন, সেখানে তৃণমূল বিধায়ক হয়ে কেন এই রকমের আচরণ করলেন প্রদীপবাবু? অনুগামীদের মুখ থেকে এই ধরনের কথা শুনতে পাওয়া মানে তো আদতে প্রদীপবাবু এটাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন! একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তার এই কাজ কি মানায় ?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে খড়্গপুরে তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, “মিশ্র সংস্কৃতির এই শহরে গণেশ পুজো বড় উৎসব। মানুষের ভোটে আমি জিতেছি। তাই মানুষের কথা প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিয়ে দোকানপাট কয়েক ঘণ্টার জন্য খোলা রাখার আর্জি জানিয়েছিলাম। দোকান খুলবে কিনা সেটা প্রশাসন দেখবে। আমার কথা যদি কেউ ফেসবুকে পোস্ট করে থাকে, তবে বেশ করেছে।” তবে এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে বিরোধীরা চেপে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে খড়্গপুরের বিজেপির পর্যবেক্ষক অভিষেক অগ্রবাল বলেন, “গণেশ পুজোর আগের দিন লকডাউন প্রত্যাহারে আমরা অনেক আগেই দাবি জানিয়েছিলাম। শহরের বিধায়ক যদি এই লকডাউনের বিরোধী হতেন, তবে তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারতেন। মানুষের চাপের মুখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের এই নির্দেশের তিনি বিরোধিতা করলেন।” এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী জানিয়েছেন, লকডাউন শিথিল বা দোকানপাট খোলার বিষয়টি তিনি শুনেছেন।

তবে সরকারিভাবে এমন কোনো নির্দেশ তার কাছে আসেনি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে যে তৃণমূল কংগ্রেস বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “রাজ্য সরকার যে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই শিরোধার্য। খড়্গপুরে কি হয়েছে জানি না। আমি বিধায়কের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব।”

সব মিলিয়ে যখন সর্বত্র লকডাউনের কথা বলা হচ্ছে, তখন গণেশ পূজো উপলক্ষে খড়্গপুরের তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীরা ফেসবুকে লকডাউন শিথিল করে দেওয়ার পোস্টে এখন নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!