এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভার আগে তৃণমূলের ‘কাটমানি’ অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়ে ঝড় তুললেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র

বিধানসভার আগে তৃণমূলের ‘কাটমানি’ অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়ে ঝড় তুললেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির তোপ বর্ষণ অব্যাহত। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে আসতে চলেছে ততই বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষুরধার সমালোচনার বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। গতকাল কলকাতায় রাজ্য বিজেপি দপ্তরে একটি বিশেষ সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত, কেন্দ্র সরকার আনীত নয়া কৃষিবিলের পক্ষে বক্তব্য দানই এই বৈঠকের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র, বিজেপি দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা। এই সাংবাদিক বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র।

গতকালের এই বৈঠকে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কৃষিবিল নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রতি বিরূপ সমালোচনা করলেন। প্রসঙ্গত কেন্দ্র সরকারের প্রস্তাবিত নয়া কৃষিবিলের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিরোধিতায় নেমেছে বেশকিছু বিরোধী দল। যাদের মধ্যে অন্যতম হলো পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কৃষি বিল বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধাচারণকারী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপির জাতীয় মুখপত্র সম্বিত পাত্র।

পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি
জানালেন, “ দু’বছর পরে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সন্মান নিধি যোজনা চালুর কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতদিন বাংলার ৭৩ লক্ষ কৃষককে কিষাণ সন্মান নিধি যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখন বলছেন যোজনার টাকা রাজ্যের হাতে দিতে হবে। কিষাণ সন্মান নিধি যোজনা থেকেও কাটমানি চায় তৃণমূল।” এর সঙ্গে সঙ্গেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র বিষেদাগার করে তাঁকে বলতে শোনা গেল, “কৃষি-শিল্প নয় শুধু কাটমানি চাই তৃণমূল (TMC) সরকারের।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত নয় কৃষি বিল যে কখনোই কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থী নয়, বরং তা কৃষকদের স্বার্থ ও উন্নয়নের অনুকূল বলে দাবি করলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, এই বিল পাস হলে কৃষকেরা যেকোনো স্থানে, যেকোনো মূল্যে তাদের ফসল বিক্রি করার সুযোগ পাবে। কিষান মান্ডিতে কর দান থেকেও তাদের অব্যাহতি মিলবে।

বিরোধীদের অভিযোগ নয়া কৃষি বিল পাস হলে কৃষির নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে পুঁজিপতি তথা বেসরকারি সংস্থার হাতে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, এই ব্যবস্থায় কৃষিজমি কৃষকদের হাতেই থাকবে। কোন কর্পোরেট সংস্থা সে জমি নিতে পারবে না। এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে নয়া কৃষিবিলে। আবার কৃষি বিল সম্পর্কে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, কৃষি বিল পাস হলে নূন্যতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন কৃষকেরা। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, এই কৃষি বিলে নূন্যতম স্কুলের ব্যাপারে কিছুই লেখা নেই। সহায়ক মূল্যের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।

এর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরূপ সমালোচনা করে তিনি জানালেন যে, অন্য কোন রাজ্যের কৃষক আত্মহত্যা করলে তা নিয়ে প্রচন্ড ভাবে সরব হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু বাংলার কোন কৃষক আত্মহত্যা যদি করে তবে তিনি সম্পূর্ণ নিশ্চুপ থাকেন। অন্যদিকে পুজো উদ্যোক্তা ক্লাব গুলোকে অর্থদান, পুরোহিতদের ভাতা প্রদান এই সমস্ত কিছুই তৃণমূল নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ব্যবহার করছে বলে জানালেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। এরপরই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ” এবার বাংলায় বিজেপি আসছে। এটা সকলে বুঝে গিয়েছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!