এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনের পর আশঙ্কা বাড়ছে বিজেপির অপর এক হেভিওয়েট বিধায়ককে নিয়ে

মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনের পর আশঙ্কা বাড়ছে বিজেপির অপর এক হেভিওয়েট বিধায়ককে নিয়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায়ের অকস্মাত্ প্রত্যাবর্তন বিজেপি দলের কাছে নানা প্রশ্ন ঠেলে দিয়েছে। ভোটের অল্প সময় আগেই যারা বিজেপিতে এসেছেন, তাঁরা কি দলে থাকবেন? বিশেষত মুকুল ঘনিষ্ঠদের নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহর বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের থাকাকালীন দীর্ঘসময় নদীয়ার দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন মুকুল রায়। একারণে নদীয়াতে দলের বহু নেতাকর্মীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ভোটের আগে নদীয়াতে বড়সড় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল তৃণমূলে।

নির্বাচনের কয়েক মাস আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। রানাঘাট উত্তর পশ্চিম থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে দলের যথেষ্ট মতবিরোধ ছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছেন। দলের একাধিক কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ভোটের পর আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক বিষেদাগারও তিনি করেছেন। কিন্তু কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায় যেভাবে তৃণমূলে চলে গেলেন, এবার তাঁকে নিয়েও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রশ্ন উঠেছে, মুকুল রায়ের মতো তিনিও কি তবে পুরনো দল তৃণমূলে চলে যাবেন? কারণ দীর্ঘ সময় ধরে তৃণমূলে ছিলেন তিনি। প্রথমে তিনি কংগ্রেস করতেন। গত ২০০৯ সালে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন তিনি। এরপর এই কেন্দ্র থেকেই বিধায়ক হয়েছিলেন। তবে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। আবার দীর্ঘ সময় ধরে তিনি রানাঘাটের পুরপ্রধানের পদে ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দীপক বসু জানিয়েছেন, মুকুল রায় পথ দেখিয়েছেন। এরপর শুধু এই জেলা নয়, গোটা রাজ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার স্রোত দেখা দেবে। তবে বিধায়কদের ক্ষেত্রে শীর্ষ নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে, এ প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানালেন যে, পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় একজন ভদ্রলোক। তিনি একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ। মানুষের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না, এই বিশ্বাস তাঁদের আছে। তাঁদের দল অটুট থাকবে। সকলে মুকুল রায়ের মতো বেইমানি করবেন না।

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছেন যে, মানুষের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না। মুকুল রায়কে দেখে বিজেপিতে তিনি আসেননি। তাহলে ২০১৭ সালেই তিনি চলে আসতেন। ২০১৭ সাল থেকে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলে খারাপ সময় তিনি কাটিয়েছেন। তখনই দল ছাড়তে পারতেন তিনি। আজ তাহলে এ সমস্ত কথা কেন তোলা হচ্ছে?। বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে যে, বিজেপি থেকে এখনো পর্যন্ত অসম্মানিত বোধ করেননি তিনি। আর যাদের জন্য তিনি তৃণমূল ছেড়েছিলেন, তাঁরা এখন দলের ক্ষমতায় রয়েছেন। কাজেই তাঁর তৃণমূলের ফিরে যাবার কোন প্রশ্নই নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!