এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় সুখবর চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য! রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের আইনে বড়সড় পরিবর্তন

বড়সড় সুখবর চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য! রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের আইনে বড়সড় পরিবর্তন


অবশেষে বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। আপার প্রাইমারির শিক্ষক হতে গেলে এবার থেকে গ্রাজুয়েশনে আর 50% নম্বর বাধ্যতামূলক নয়। জানা গেছে, গত 2011 সালের 29 শে জুলাইয়ের আগে যদি কেউ বিএড কোর্সে তাদের নাম নথিভুক্ত করান, তাহলে এই নম্বরের ক্ষেত্রে কোনো রকম কড়া নিয়ম থাকছে না। কিন্তু এই সংশ্লিষ্ট সময়ের পরে যদি কেউ বিএড কোর্সে নাম নথিভুক্ত করান, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে সেই 50 শতাংশ নম্বরের নিয়মই বহাল থাকছে।

সূত্রের খবর, এনসিটিইর পক্ষ থেকে 2011 সালের বিধি সংশোধন করে এই নতুন বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের এক প্রার্থী নীরজকুমার রাই এই ব্যাপারে তার একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। আর তার ফলেই আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে এনসিটিইর পক্ষ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর এর ফলে এবার প্রচুর প্রার্থী উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারবে বলে মনে করছে একাংশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই চাকরিপ্রার্থীদের একটা অভিযোগ ছিল যে, শুধুমাত্র গ্রাজুয়েশনে 50% নাম্বার না থাকার জন্য তাদের প্রচুর টাকা খরচ করে বিএড করতে হয়। ফলে নতুন এই নিয়ম যদি আসে, তাহলে এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যা অনেকটাই কমবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, “অনেকেই এমন থাকেন, যারা হয়ত কম নম্বর ওঠে এমন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন করেছিলেন। অথচ পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোনো স্কোরিং সাবজেক্টেই করেছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁরা আরও জানিয়েছেন, “আবার এমন প্রার্থীও কম নেই যারা গ্র্যাজুয়েশন যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেছেন, সেখানে প্রথাগতভাবে কম নম্বরই দেওয়া হয়। পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ভিন রাজ্যের এমন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেছেন, যারা হয়ত নম্বর দেওয়ায় উদার। ফলে গ্রাজুয়েশনে না পেলেও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে 50 শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন। তাদের সামনেও দরজা খুলে যাবে।” তবে শুধু এটাতে নয়, প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও ছাড় আসতে চলেছে বলে খবর।

জানা যায়, রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম 50% নম্বর আবশ্যিক করেছিল। যা নিয়ে মামলা পর্যন্ত হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এতে জয় হয় মামলাকারীদের। একাংশের মতে, কমিশনের ধারণা ছিল শিক্ষকদেরই যেখানে গ্র্যাজুয়েশনের ন্যূনতম 50% আবশ্যিক করা হয়েছে, সেখানে প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে নূন্যতম 50 শতাংশ নম্বর আবশ্যিক করা নীতিগতভাবে সঠিক।

কিন্তু আগে স্নাতকোত্তরে এত নম্বরই উঠত না। সেটা কমিশন ভাবেনি। ফলে বহু অভিজ্ঞ শিক্ষক বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এবার শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বিধি শিথিল হওয়ায় উচ্চ প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ছাড় আসতে পারে। এদিন এই প্রসঙ্গে কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “এবার অনেক নতুন প্রার্থী টেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্যও বিধি শিথিলের আশা করা যায়।”

সব মিলিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য যে বড়সড় সুখবর আসতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। বিশেষ করে বাংলার ক্ষেত্রে তৃণমূল সরকার আসার পর থেকে সেভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয় নি। শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাবে বহু স্কুলই ধুঁকছে বলে খবর। এমনকি বর্তমান শিক্ষকদের উপর অতিরিক্ত ক্লাসের চাপও বাড়ছে। কিন্তু এই নিয়ম পরিবর্তনের ফলে, নতুন শিক্ষক নিয়োগ সহজ হবে বলে আশা করছেন সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!