এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ত্যাগ করতে জানে বিজেপি, লড়াই কাকে বলে, শিখুন মমতা ! হুঙ্কার শুভেন্দুর !

ত্যাগ করতে জানে বিজেপি, লড়াই কাকে বলে, শিখুন মমতা ! হুঙ্কার শুভেন্দুর !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এক সময় লড়াই, আন্দোলন, সংগ্রাম এবং সততার প্রতীক বলা হত এই রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তার একের পর এক ঢপবাজি, একের পর এক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি মানুষের কাছে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, এই মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুর আন্দোলনের নামে সেই এলাকাকে ধ্বংস করেছেন। শুধুমাত্র ক্ষমতা পাওয়ার জন্য অনশন করার বদলে তিনি কি করে নিজে ভালো থাকা যায়, সেই চেষ্টা করেছেন। বিরোধীরা বিভিন্ন সময় সেই অভিযোগ করেন।

অনেকে তো এটাও বলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরে যখন অনশন করছিলেন, তখন পর্দার আড়ালে তিনি প্রচুর চকলেট খেয়েছেন। যাই হোক, সেই সমস্ত কিছু সত্যি নাকি মিথ্যা, সেটা বিচার করার মত জায়গায় আমরা নেই। কারণ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অনেক বড় মাপের ব্যক্তিত্ব। তার ধারে কাছে যাওয়ার ক্ষমতা অন্তত আমাদের নেই। কিন্তু এই রাজ্যকে যেভাবে তিনি সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর, তাতে তিনি যতই বিরোধী নেত্রী থাকার সময় আন্দোলন করুন না কেন, বর্তমান বিরোধী দল যে কায়দায় আন্দোলন করছে, তার কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত আন্দোলন ফিকে হয়ে যাবে। এখন পুলিশ সর্বস্ব হয়ে উঠেছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

সব জায়গায় পুলিশকে দিয়ে বিরোধীদের আটকানোর চেষ্টা করছেন। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রবাদী দেশপ্রেমিক দল হিসেবে পরিচিত বিজেপি আজ সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে যে ত্যাগ মানুষের জন্য কাজ করার যে চেষ্টা দেখালো, তারপর এই রাজ্যের পুলিশ এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা থাকা উচিত। শুধু তাই নয়, এদিন বাসের মধ্যে বসে থেকেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে যে কথা বললেন, তা চমকে দেওয়ার মত। কিন্তু কি এমন বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে প্রায় 50 জন বিজেপি বিধায়ক ছিলেন, যারা সন্দেশখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই তাদেরকে এই রাজ্যের দলদাস পুলিশ আটকে দেয়। দীর্ঘক্ষণ বাসের মধ্যেই বসে থাকেন এই সমস্ত বিধায়করা। আশ্চর্যজনক ভাবে সেই বাসে সাত জন মহিলা বিধায়ক থাকলেও, তারা কিন্তু একটি সাধারণ বাসে যেভাবে সাধারণ মানুষ জার্নি করেন, সেভাবেই বসে ছিলেন। যদি তারা চাইতেন, তাহলে ফুটানি দেখাতে পারতেন। কিন্তু তারা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মতো বাইরে লোক দেখানো নাটক করেননি। আর সেই বিষয় তুলে ধরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যারা বিজেপি করে, তারা ডেডিকেটেড। ছেড়া বাসে, ছেড়া সিটে বসে রয়েছেন সমস্ত বিধায়ক। সাত জন মহিলা বিধায়ক আছেন, যারা ওয়াশরুমেও যাননি। আমরা ওনার মত ক্যাডবেরি খাইনি।”

অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা বলার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। তিনি দেখিয়ে দিতে চাইলেন যে, মানুষের জন্যই কাজ করছে বিজেপি। আর সেই কারণেই তাদের আন্তরিকতা রয়েছে জন্যেই তারা কোনো লাট সাহেবি আচরণ দেখাতে চাননি। যদি তারা চাইতেন, তাহলে নিজেদের গাড়ি করে যেতেই পারতেন। কিন্তু সন্দেশখালির মা বোনেরা কাঁদছে, আর বিজেপি বিধায়করা নিজেদের মতো করে এসি গাড়িতে যাবেন, সেটা হতে পারে না। তাই সকলে মিলে একত্রিত হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ জানাতে বাসে করেই সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেখানেও এই ফ্যাসিস্ট-প্রশাসন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলো।

তবে এসব করে সাময়িক ভাবে হয়ত বিজেপিকে আটকানো যাবে, তবে এই প্রবণতা চিরস্থায়ী হবে না। রাজ্যের মানুষ সব দেখছে। তারা দেখছে যে, মানুষকে যখন এই রাজ্যের সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না, তখন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিরোধী বিধায়করা তাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। তারা আর যাই হোক, পর্দার সামনে অনশন করার নাটক দেখিয়ে রাতের অন্ধকার নামার সাথে সাথেই সেই পর্দা ঢেকে দিয়ে চকলেট খেতে ব্যস্ত থাকেন না। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!